মায়াবতী কি প্রধানমন্ত্রী হবেন?
"দাঁড়ালে আমাকে এই আম্বেদকর নগর থেকেই দাঁড়াতে হবে।" শেষ জনসভায় এইটুকুই বলেছিলেন। তারপর থেকে জনতার মধ্যে তাঁকে নিয়ে আলোচনা দেশজুড়ে। প্রশ্ন একটাই, দলিত রাষ্ট্রপতি পেয়েছে দেশ। কিন্তু দলিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী। সম্ভব কী ?
আম্বেদকর নগরে বিএসপির হয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে দুটি নতুন জল্পনার জন্ম
দিয়েছিলেন মায়াবতী। এক তিনি আম্বেদকর নগর থেকে নির্বাচনে লড়তেও পারেন। অন্য দিকে তিনি সাধারণ সাংসদ নন, এৃকেবারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। সেদিন মায়াবতীর সভা মঞ্চের পিছনের বিশাল কাটআউটে দেখা যায় মায়াবতীর ছবির তলায় লেখা প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে পৌঁছোয় এই কাট আউটটিকে ঘিরে।
উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর এই বয়ান ভোটের মুখে বিএসপিকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে। অতীতেও মায়াবতী সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্যে। ২০০৭ বিধানসভা ভোটের ফলে ভিত্তি করে ২০০৯ লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করেছিলেন মায়াবতী। কিন্তু সে যাত্রা ব্যর্থ মনোরথ হয়েই তাঁকে ফিরতে হয়। কিন্তু এবার, ভোটে না দাঁড়িয়ে এত বড় দাবি কী করে করছেন মায়াবতী? রাজনৈতিক মহল বলছে, আসলে মহাগঠবন্ধনে ভাল রকমের আস্থা রাখছেন মায়াবতী।
তিনটি শর্তে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন মায়াবতী।
১ এসপি-বিএসপি জোট যদি বিজেপিকে ২০টি সিটে আটকে রাখতে পারে তবে তাঁর দাবিটি গুরুত্ব পাবে।
২ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. চন্দ্রশেখর রাও, তেজস্বী যাদব, জগন্মোহন রেড্ডি, নবীন পট্টনায়কদের মতো হেভিওয়েটদের সঙ্গে সমঝোতাসূত্রে যেতে হবে তাঁকে।
৩ রাহুল গাঁধীকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নায তাঁর সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হতে হবে মায়াবতীকে।
অন্য দিকে বিজেপি বিলক্ষণ জানে ৮০ টির মধ্যে ৭৩ টি আসন দখল করা ২০১৪ সালের উত্তরপ্রদেশে এখন অতীত। সিট কমতে পারে বলে আশঙ্কা দলের অন্দরেই। এই অবস্থায় মায়াবতীর ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে আসাকে দলের বিপদ হিসেবেই দেখছে গেরুয়াবাহিনী। এসপি বিএসপির রফা হার্টবিট বাড়াচ্ছে ৫৬ ইঞ্চি ছাতির।
রাজনীতির বিশ্লেষকরা বলছেন মায়াবতী নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকলে তাঁর উচিত তার পরবর্তী লক্ষ্যগুলি জানানো।