আত্মহত্যা না খুন? মৃত্যুর ২০ ঘন্টা আগেই ফেসবুকের প্রোফাইল ও কভার ফটো বদল বিদিশার

পল্লবী দের মৃত্যুতে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে পোস্ট করেছিলেন বিদিশা। লিখেছিলেন ‘মানে কী এ সব’। বিদিশার মৃত্যুর পরে তার সেই ফেসবুক পোস্টই এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

Parna Sengupta | Published : May 25, 2022 8:27 PM IST

কভার ফটোতে এখনও জ্বলজ্বল করছে ২০ ঘন্টা আগেই দেওয়া ছবি। সেখানেই শেষ নয়। ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিটাও চেঞ্জ করা হয়েছিল সেই ২০ ঘন্টা আগেই। এহেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ মডেল বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যু বেশ রহস্যজনক বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রশ্ন উঠছে অনেকগুলো। পল্লবী দের মৃত্যুতে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে পোস্ট করেছিলেন বিদিশা। লিখেছিলেন ‘মানে কী এ সব’। বিদিশার মৃত্যুর পরে তার সেই ফেসবুক পোস্টই এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

যে মডেল অভিনেত্রী বিদিশা পল্লবী দের মৃত্যুর পরে লিখেছিলেন এই মৃত্যু তিনি মেনে নিতে পারছেন, তার দশ দিন পরে কী এমন ঘটল, যে তিনিই এই চরম পরিণতির রাস্তা বেছে নিতে বাধ্য হলেন। নাকি এটা খুনের কোনও ঘটনা। তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে আরও একটি বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাকটিভ ছিলেন বিদিশা। ২০ ঘন্টা আগেই নিজের সাহসী ছবি পোস্ট করেছিলেন বিদিশা। সঙ্গে চেঞ্জ করেছিলেন প্রোফাইল পিকচারও। নিজের ছবিতে নিজেই লাভ ইমোজি দেন বিদিশা। 

তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল দেখে জানা যায় যে গত কয়েকদিন থেকেই নানা পোস্ট তিনি করেছিলেন, যার বেশির ভাগচাই চিল নিজের ছবি। কর্মক্ষেত্রে তাহলে কি সমস্যা চলছিল, যাতে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে বিপন্ন বোধ করছিলেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে বেশ কিছু। উল্লেখ্য, দমদম নাগেরবাজারের বাসিন্দা বিদিশা দে মজুমদারের রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রামগড় কলোনির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ বছর বয়েসী এই মডেল আত্মহত্যা করেছেন কীনা, তা জানা যায় নি। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। 

তবে এই উঠতি মডেলের মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কীনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বিদিশার দেহ বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।

গত ১৫ মে রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় 'মন মানে না' খ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ। আর এরপর থেকেই অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ খুঁজে চলেছে পুলিশ। আর তার ফলেই উঠে এসেছে ত্রিকোণ প্রেম থেকে আর্থিক তছরূপের একাধিক তথ্য। প্রথম দিন থেকেই অভিনেত্রীর মৃত্যুকাণ্ডে সন্দেহের নিশানায় পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। যদিও পুলিশী জেরায় সাগ্নিক জানিয়েছে যে বারান্দায় যখন ধূমপান করতে গেছিল সাগ্নিক তখনই আচমকা এহেন ঘটনা ঘটিয়ে বসেন পল্লবী। তারপর সে নিজেই পল্লবীকে নামিয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর কারণ প্রথম দিন থেকে সাগ্নিককেই দায়ী করেছেন পল্লবীর পরিবার। 

Read more Articles on
Share this article
click me!