সুদীপার মন্তব্যে পর থেকেই বাড়তে থাকে যুক্তি পালটা যুক্তির ভিড়। ঘটনা চক্রে নাম উঠে আসে অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিকেরও। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমে অরিত্রর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন সঞ্চালিকা। এবার তার ফেসবুকে ভিডিও-এর মাধ্যমে পালটা জবাব দিলেন অরিত্র।
বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত সোশ্যাল মিডিয়া, সৌজন্যে বিখ্যাত সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্ট। ডেলিভারি বয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সঞ্চালিকার পোস্টের সমালোচনার সরব হয় নেটদুনিয়া। তিনি লিখেছিলেন,"আমি শুধু জানতে চাই একজন ডেলিভারি বয়ও ফোন না করে কেন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না? ফোন করে কেন বলেন, ‘আমি আসছি আপনি গেটটা খুলুন'। আমি কি দারোয়ান, যে গেট খুলব?” সুদীপার এই মন্তব্যে পর থেকেই বাড়তে থাকে যুক্তি পালটা যুক্তির ভিড়। ঘটনা চক্রে নাম উঠে আসে অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিকেরও। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমে অরিত্রর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন সঞ্চালিকা। এবার তার ফেসবুকে ভিডিও-এর মাধ্যমে পালটা জবাব দিলেন অরিত্র।
কয়েকদিন আগে ডেলিভারি বয় নিয়ে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টের সমালোচনায় অরিত্র দত্ত বণিক নেট মাধ্যমে লেখেন,"জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঞ্চালিকা যাকে লক্ষাধিক মানুষ ফলো করেন তার কাছ থেকে এই বক্তব্য একেবারে কাম্য ছিলোনা। তাও উনি পোস্টটা ডিলিট করেছেন তবে মাথায় রাখবেন পোস্ট সরিয়ে নিলেই মন থেকে অহংকারী মানসিকতা সরে যায়না...."
এই বিষয় একটি সংবাদ মাধ্যম থেকে সুদীপাকে প্রশ্ন করা হলে রীতিমত ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অভিনেত্রী সাফ জানিয়ে দেন,“অরিত্র জীবনে কী করেছে যে ওর কথা আমায় শুনতে হবে”? এখানেই শেষ নয় অরিত্রর মা-বাবা তাঁর জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে নানা জায়গা থেকে অনৈতিক সুবিধা ভোগ করেছেন বলেও অভিযোগ তোলেন সুদীপা। পাশাপাশি অরিত্র দত্ত বণিক তাঁর নাম ভাঙিয়ে জনপ্রিয়তা কুড়োতে চাইছে বলেও দাবি করেন সঞ্চালিকা। তিনি আরও যোগ করেন "মানুষ এখন সাধারণ মজাকেও স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে না। তারা যখন দেখছে মহিলা সোনার গয়না পরে,বাড়িতে দুর্গাপুজা হয়, শাড়ির দোকান আছে, তার মানে টাকা পয়সা আছে। তাই একে অপমান করলে আমাদের গায়ের ঝালটা মিটবে।"
আরও পড়ুন - ট্রোলিং এর মুখে জি বাংলার কুকারি শো এর সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, কেন জানেন
এবার সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জবাব দিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন অরিত্র দত্ত বণিক। ভিডিও-এ অরিত্র প্রথমেই নিজের বংশ গরিমার কথা উল্লেখ করে সুদীপার উদ্দেশ্যে বলেন তাঁর পরিবারের আদৌ তার নাম ভাঙানোর কোনওদিন প্রয়োজনই পড়েনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,"আমার বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকাউন্ট অডিটর। আমার মায়ের ২৫ বছরেরও পুরনো শাড়ির দোকান, নাচের ইনস্টিটিউট আছে। পরিবারের অন্য দিক গুলোয় দেখতে গেলে, আমার দাদু আইএসআই এর প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার। প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশের সঙ্গে এককালে কাজ করেছেন। আমার মাসি ও মেসো দুজনেই আইএসআই-এ রয়েছেন। একজন মেডিক্যাল ইনচার্য আর একজন কম্পিউটার সায়ান্সেসের প্রফেসর। অতএব আমি সিনেমায় কতটা জনপ্রিয় হলাম তাতে আমার পরিবারের আদৌ কোনও যায় আসে না।" এরপর তিনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করে সিনেমা না করলেও যে স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করার মতো রোজগাড়ের যোগত্যা তাঁর রয়েছে সে কথাও মনে করিয়ে দেন অরিত্র। অরিত্রর পরিবার প্রসঙ্গে সুদীপার মন্তব্যের প্রেক্ষীতে নিজের গাড়ির যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করে তাঁর গাড়ির বিরুদ্ধে কী কী গুরত্বর অভিযোগ আছে তা অনলাইন পোর্টালে গিয়ে সুদীপাকে খতিয়ে দেখতেও অনুরোধ করেন অরিত্র। এছাড়াও সুইগির ডেলিভারি বয়, দারোয়ান ইত্যাদি নানা পেশার মানুষকে মজার অছিলায় ছোট করার অভিযোগও তুললেন তিনি। সুদীপার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,"আপনার কাছে সাফল্যের মাপকাঠি যদি হয়ে থাকে গয়না, অর্থ অথবা সামাজিক কৌলিন্য তবে আপনার মতো শিক্ষা আমি পাইনি। আমাদের ব্যাঙ্ক ব্যালান্সে শূন্যের অনেক তফাত আছে, কিন্তু আপনার থেকে আমি অনেক বেশি সফল।" তিনি আরও যোগ করেন,"আমি আপনার সন্তান তুল্য। আপনাকে সম্মান করতাম। কিন্তু আপনার এই মানসিকতা হলে আমার মনে হয় না আপনাকে ভালোবাসা বা ঘৃণা কোনওটাই করা যায় না। আসলে আপনি জানেনই না জীবনের গতি বেড়েছে, সাপ্লাই চেন পালটেছে, অথচ আপনি সফল, শিক্ষিত।"
আরও পড়ুন - 'রান্নাঘর'-এর কর্ত্রী আর সুদীপা নয়, সঞ্চালিকার ভূমিকায় নয়া অবতারে 'কৃষ্ণকলি'-র তিয়াশা
অরিত্র দত্ত বণিকের পুরো ফেসবুক লাইভের ভিডিও, যেখানে তিনি সুদীপাকে কটাক্ষ করেছে, দেখুন সেই ভিডিও -----