বাংলার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় শনিবার বিকেলে অন লাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগি বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বার্তা দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পাঁচ জনের মতই অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Actor Prosenjit Chatterjee) খাবারের জন্য নির্ভর করেছিলেন অন লাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের (Food Delevery App) ওপর। কিন্তু অভিনেতা বলে তিনি কোনও বাড়তি সুযোগ পাননি। আরও পাঁচ জনের মত তাঁরও খাবারের অর্ডার নিয়েছিলে সেই অন লাইন খাবার সরবরাহকারী সেই সংস্থা। কিন্তু খাবার সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। দেশের পাঁচটা সাধারণ মানুষ যেমন অন লাইন অ্যাপে অর্ডার করা খাবার না পেয়ে রেগে যায় ঠিক তেমনাই হয়েছিল বাংলার সুপারস্টার প্রসেনজিতের ক্ষেত্র। তবে তিনি হাত গুটিয়ে বসে না থেকে সরাসরি নিশানা করেন সংস্থাকে। তার সেক্ষেত্রে তিনি নালিশ ঠুকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কাছে।
বাংলার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় শনিবার বিকেলে অন লাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগি বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বার্তা দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খোলা চিঠি লেখেন। যেখানে তিনি গোটা ঘটনার বর্ণনা করে প্রতীকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানান। টুইট বার্তায় তিনি ট্যাগ করেন মমতা ও মোদীকে।
চিঠিতে প্রসেনজিৎ লিখেছেন,' শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবের শুভেচ্ছা। আশা করি আপনি ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে তার প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ৩ নভেম্বর আমি খাবার সরবরাহের জন্য একটি অর্ডার দিয়েছিলাম সুইগিতে। কিছু সময় পরে সংস্থা অর্ডার বাতিল করে। আমি খাবার পাইনি। সুইগিকে বিষয়টি জানানোর পরেই তারা আমার টাকা ফেরত দিয়েছে।'
তাপরই প্রসেনজিৎ লিখেছেন, 'তবে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলাম কারণ আমি মনে করি যে কোনও মানুষই এজাতীয় সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। কেউ যদি তাদের অতিথির জন্য খাবার অর্ডার করে না পায় তাহলে সেটি খুবই বিড়ম্বনার। অনেকেই রাতের খাবারের জন্য অর্ডার করে। তারা যদি রাতের খাবার না পায় তাহলে কী তারা ক্ষুধার্ত থাকবে। এমন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলছি।'
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এজাতীয় চিঠি লেখার পরে ত রীতিমত শোরগোল শুরু হয়েছে। অনেক নেটিজেনই ট্রোল্ড করেছেন অভিনেতাকে। অনেকেই বলেছেন এটি খুবই গুরুতব অভিযোগ। প্রতীকার চাওয়ার জন্য অভিনেতার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্র সংঘকে ট্যাগ করা দরকার ছিল। অনেকেই কিছুটা মজার ছলে বলেছেন বুম্বাদা এটা সত্যিই জাতীয় সমস্যা।