খড়পুর আইআইটির ছাত্র। বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেছেন। মুম্বইতে আইআইটি পরীক্ষার্থীদের ট্রেনিংও দিয়েছেন। কিন্তু অভিনয় তাঁর প্যাসন। তাই জিতেন্দ্র কুমার সবকিছু ছেড়েছুড়ে পা রেখেছিলেন সিলভার স্ক্রিনে।
কোটা ফ্যাক্টরির জিতু স্যার। তারপরই পঞ্চায়েত এর সচিবজি ওরফে অভিষেক ত্রিপাঠী- পরপর দুটি ওয়েব সিরিজে রীতিমত স্টার হয়ে গেলেন আইআইটয়ান জিতেন্দ্র কুমার। লকডাউনের সময় পঞ্চায়েত-১ রিলিজ করেছিল আম্যাজন প্রাইম। যা অনেকটাই ফিরিয়ে দিয়েছিল হৃষিকেশ মুখার্জির ছবির স্মৃতি। সপরিবারে দেখার মত মজাদার ওয়েব সিরিজ ছিল পঞ্চায়েত ১। সেই একই রেশ বজায় থাকল পঞ্চায়েত ২তেও। দর্শকদের দাবি যেন আরও দ্রুত মুক্তি পায় পঞ্চায়েত ৩। কারণ এবার সচিবজির বদলির অর্ডার হাতে এসেছে। যদিও সেই চিঠি এখনও তাঁর হাতে পৌঁছায়নি।
যাইহোক এবার আসি জিতেন্দ্র কুমারের কথায়। খড়পুর আইআইটির ছাত্র। বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেছেন। মুম্বইতে আইআইটি পরীক্ষার্থীদের ট্রেনিংও দিয়েছেন। কিন্তু অভিনয় তাঁর প্যাসন। তাই জিতেন্দ্র কুমার সবকিছু ছেড়েছুড়ে পা রেখেছিলেন সিলভার স্ক্রিনে। আর সেখানেই কঠোর পরিশ্রম আর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে একটা জায়গাও তৈরি করে নিয়েছে দ্রুত। সহজ সরল পাশের বাড়ির ছেলে এই লুক-ই মাত করেছেন পঞ্চায়েত সচিবজি হয়ে মাত করেছেব জিতু।
প্রথম ওয়েব সিরিজ নেটফ্লিক্সের কোটা ফ্য়াক্টরি। সেখানে কোটার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , যেখানে আইআইটি পড়ুয়াদের ট্রেনিং দেওয়া হয় তারই পটভূমিকায় তৈরি হয়েছিল কোটা ফ্যাক্টরি। জিতেন্দ্র কুমার ছিলেন জিতু স্যার। যদিও স্যার বলে কেউ তাঁকে ডাকতে পারত না। তিনি ছিলেন সকল পড়ুয়াদের জিতু ভাইয়া। পাশাপাশি ফিজিক্সের শিক্ষক। তিনি নিজেরও একটা কোচিং সেন্টার খুলেছিলেন। পরপর দুটি পর্বেই বাজিমাত করেছিলেন জিতু ভাইয়া। পড়ুয়াদের ফ্রেন্ড ফিলোজফার আর গাইড হয়ে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।
তবে একদমই অন্যধারার সিরিজ পঞ্চায়েত। সেখানেই ফুরেলা পঞ্চায়ের সচিবজি হয়ে দুটি সিরিজেই অনবদ্য অভিনয় জিতেন্দ্র কুমার মন কেড়ে নিয়েয়েছেন দর্শকদের। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সংবাদপত্র- সর্বত্রই তাঁর নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আট এপিসোডের প্রত্যেকটিতে নিখুঁত অভিনয় কামাল করেছেন জিতেন্দ্র কুমার। এখন অবশ্য তিনি আর জিতেন্দ্র কুমার নন- দর্শকদের কাছে সচিবজি। দর্শক এখন প্রতীক্ষা করছে পরবর্তী সিজেনের জন্য। আর জিতেন্দ্র কুমারের ঘনিষ্ট মহলের খবর - এই সাফল্য নাকি রীতিমত উপভোগ করছেন তিনি।
রিলে সিদাসাদা সচিবজিকে ফুটিয়ে তুলায় দর্শকদের যেমন তারিফ পেয়েছেন জিতেন্দ্র কুমার তেমনই পুরষ্কারও পেয়েছ। কমিডি সিরিজের সেরা অভিনেতা হিসেবে ওটিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। পাশাপিশি ওয়েব দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আয়ও বেড়েছে তাঁর। শোনা যাচ্ছে বর্তমানে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি।