মাকে নাকি অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন বিদিশা খুব ভালো বন্ধু ছিল। মাকে তিনি আরও বলেছিলেন পল্লবীর বাড়িতে সাংবাদিকরা এসেছিল, তোমার বাড়িতেও আসবে।
সেভাবে কাজ মিলছিল না। ধীরে ধীরে হতাশ হয়ে পড়ছিলেন মঞ্জুষা নিয়োগী। তবে পাশে ছিলেন স্বামী। এমনই দাবি মডেল অভিনেত্রী মঞ্জুষার মায়ের। মেয়ের আত্মহত্যা নিয়ে মুখ খুলে বেশ কিছু তথ্য সামনে নিয়ে এলেন তিনি। অভিনেত্রীর মায়ের দাবি ছিল মেয়ে সবসময় ওপরে ওঠার চিন্তা করত। তবে জামাই বলেছিল ধীরে সুস্থে সব হবে। সেই পরামর্শ নাকি অভিনেত্রীকে দিতে তাঁর মাও। তবে তাতে খুশী ছিলেন না মঞ্জুষা। প্রথমে পল্লবী এবং পরে বিদিশার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েন তিনি।
মাকে নাকি অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন বিদিশা খুব ভালো বন্ধু ছিল। মাকে তিনি আরও বলেছিলেন পল্লবীর বাড়িতে সাংবাদিকরা এসেছিল, তোমার বাড়িতেও আসবে। তাহলে কি আত্মহত্যার আগাম সংকেত মাকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী। প্রশ্ন উঠছে। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, মেয়ে চার-পাঁচ দিন আগেই বাপের বাড়িতে এসেছিল। বৃহস্পতিবার সারাদিন মঞ্জুষা শুধু বিদিশার কথাই বলছিলেন। তাঁর মা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও ফল হয়নি।
একই সঙ্গে মঞ্জুষার মা প্রশংসা করেছেন তাঁর জামাইয়ের। বলেছেন, ‘‘আমার জামাই খুব ভাল মানুষ।’ বিয়ের পর জামাই বলত যে, এত কাজ এক সঙ্গে করতে হবে না। মেয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল বলে শরীর রোগা রাখত, খাওয়া-দাওয়া কম করত। আমিও বলতাম, ভাল করে খাওয়া দাওয়া করতে। না খেলে শরীর খারাপ হবে। কিন্তু তার আগেই ও নিজেকে শেষ করে দিল।’’
উল্লেখ্য, পাটুলির ফ্ল্যাট থেকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয়েছে বিদিশার মডেল অভিনেত্রী বান্ধবী মঞ্জুষার দেহ। মঞ্জুষাও বিদিশার মতোই অভিনয় জগতে যুক্ত। উল্লেখ্য, টেলি পাড়ায় পল্লবী দে-র দেহ উদ্ধার হয়েছিল কিছু আগেই। আর তার পরপরই পল্লবীরও এক বান্ধবীর দেহ উদ্ধার হয়। এহেন পরপর টেলি জগতে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতায়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্ত হচ্ছে কী করে বারবার, একগুচ্ছে প্রশ্নের সামনে গোটা টলি পাড়া। আত্মহত্যা নাকি খুন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারও আর পাঁচটা দিনের মতোই মঞ্জুষা শুটিংয়ে গিয়েছিল। তবে রাতারাতি এমন কী হল, যে তাঁকে চির তরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হল। গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ পাটুলি এলাকা। এদিকে বিবাহিত মঞ্জুষা, বিদিশার এতটা ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দুই জনের এই গভীর সম্পর্ক নিয়ে মঞ্জুষার স্বামীর সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়েছিল কিনা, তাও প্রশ্ন উঠে এসেছে। তবে মঞ্জুষার মাসি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে মানির স্বামী এসেছিল ওকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে, কিন্তু ও যেতে রাজি হয়নি।' প্রসঙ্গত, বুধবার বিদিশা দে মজুমদারের দেহ উদ্ধার হয়। এদিকে ৪৮ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই আরেক মডেল অভিনেত্রী মঞ্জুষার দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।