বান্ধবী বিদিশার মৃত্যুশোক সামলাতে পারলেন না, পাটুলিতে উদ্ধার মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ

বুধবার রাতেই দমদমের মেসে উদ্ধার হয়েছিল মডেল ও অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের দেহ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক ধাক্কা। এবার পাটুলির ফ্ল্যাট থেকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয়েছে বিদিশার মডেল অভিনেত্রী বান্ধবী মঞ্জুষার দেহ।

Web Desk - ANB | Published : May 27, 2022 4:18 AM IST / Updated: May 27 2022, 10:30 AM IST

মডেল ও অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের দেহ উদ্ধারের পরপরই উদ্ধার বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ।  পাটুলির ফ্ল্যাট থেকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয়েছে বিদিশার মডেল অভিনেত্রী বান্ধবী মঞ্জুষার দেহ।  মঞ্জুষাও বিদিশার মতোই অভিনয় জগতে যুক্ত। উল্লেখ্য, টেলি পাড়ায় পল্লবী দে-র দেহ  উদ্ধার হয়েছিল কিছু আগেই। আর তার পরপরই পল্লবীরও এক বান্ধবীর দেহ উদ্ধার হয়। এহেন পরপর টেলি জগতে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতায়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্ত হচ্ছে কী করে বারবার, একগুচ্ছে প্রশ্নের সামনে গোটা টলি পাড়া। আত্মহত্যা নাকি খুন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারও আর পাঁচটা দিনের মতোই মঞ্জুষা শুটিংয়ে গিয়েছিল। তবে রাতারাতি এমন কী হল, যে তাঁকে চির তরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হল।   গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ পাটুলি এলাকা। মঞ্জুষার মাসি বলেছেন, আমি দোতালায় শুয়েছিলাম। তারপর আমি তিনতলার বাথরুমে যাই। জামা কাপড় ধুয়ে মেলতে যাব ছাদে। দরজা তখন ভেজানো ছিল। তখনই আচমকা দরজা টেনে খুলতেই ওকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখি।' মঞ্জুষার মাসি জানায়, 'মানি মানি ( মঞ্জুষার ডাক নাম) করে বারবার ডাকার পরেও মেলে না সাড়া।' মাসির কথায়, তারপর আমি ওকে ছুঁয়ে দেখি, ওর শরীর ঠান্ডা। তারপর ছুটে এসে ওর মাকে ডেকে নিয়ে গেলাম।' স্বাভাবিকভাবেই এদিন সকালে মঞ্জুষার দেহ দেখে মেয়ের মৃত্যুর খবর বিশ্বাসই করতে পারছে না, নিয়োগী পরিবার।

আরও পড়ুন, 'ভোর রাতে কথা বলেছিল বিদিশা, বুঝিনি ওটাই যে শেষ ফোন', বান্ধবীর মৃত্যুতে মুখ খুললেন দিয়া

আরও পড়ুন, 'বিদিশার সঙ্গে রাত কাটাতে পারলে, কিন্তু মৃত্যুতে এলে না ', অনুভবের কথা শুনে বিস্ফোরক দিয়া

মাসি মঞ্জুষার পেশগত দিক নিয়ে জানিয়েছেন, 'মানি সিরিয়াল করত। তবে মডেলিংটাই বেশি করত। বিদিশার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। বিদিশার মৃত্যু ও মেনে নিতে পারেনি। বিদিশা মারা যাবার পরেই ও ভীষণ নার্ভাস হয়ে যায়। আমি বাচবো না, আমি ওর কাছে চলে যাব, এরকম একটা সবসময় বলত', বলে জানিয়েছে মঞ্জুষা-র মাসি। জানা গিয়েছে, এমনকি একসঙ্গে প্রচুর কাজও করেছে বিদিশা এবং মঞ্জুষা। এদিকে বিবাহিত মঞ্জুষা, বিদিশার এতটা ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দুই জনের এই গভীর সম্পর্ক নিয়ে মঞ্জুষার স্বামীর সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়েছিল কিনা, তাও প্রশ্ন উঠে এসেছে। তবে মঞ্জুষার মাসি আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার  রাতে মানির স্বামী এসেছিল ওকে শ্বশুড়বাড়ি নিয়ে যেতে, কিন্তু ও যেতে রাজি হয়নি।' প্রসঙ্গত, বুধবার সবে বিদিশা দে মজুমদারের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে ৪৮ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতোই ফের মঞ্জুষার দেহ উদ্ধারে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে সবাইকে, ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে চিন্তায় রয়েছে সব মা-বাবাই। তবে ইতিমধ্য়েই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন, লিভইনে ছিলেন পল্লবী, রাতে মোমো খেয়ে ছবিও করেন পোস্ট , 'আত্মহত্যা' মানতে নারাজ সহকর্মীরা

 

Read more Articles on
Share this article
click me!