গত বছর দোশরা অক্টোবর মুম্বিযের উপকূলে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় এনসিবি অভিযান চালিয়েছেন। তারই নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখান থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছিল। তাতেই নাম জড়িয়ে পড়েছিল শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের।
মাদক মামলার একদিকে যখন স্বস্তিতে খান পরিবার তখনই ঠিক বিড়ম্বনা বাড়তে চলেছে অ্যান্টি নার্কোটিক অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের। করণ সমীর ওয়াংখেড়েই প্রথম থেকে মুম্বই ড্রাগস অন ক্রুজ মামলার তদন্ত করছিলেন। কারণ এদিনই এই মামলার চার্জ পেশ হত। তাতেই কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা এনসিবি ছাড়পত্র দিয়েছে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কথায় আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। এই চার্জশিট পেশ হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর ভুয়ো মামলা সাজানোর জন্য এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গত বছর দোশরা অক্টোবর মুম্বিযের উপকূলে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় এনসিবি অভিযান চালিয়েছেন। তারই নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখান থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছিল। তাতেই নাম জড়িয়ে পড়েছিল শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের। গ্রেফতার করা হয়েছিল। একাধিক বার জেরার জন্য ডাকাও হয়েছিল। কিন্তু এনসিবির চার্জশিটে নাম নেই আরিয়ান খানের। তারপরই কেন্দ্রের তরফ থেকে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর শাস্তি হতে পারে সমীর ওয়াংখেড়ে।
মুম্বইয়ের এই মাদক মামলার প্রথম থেকে কিছুটা হলে ব্যাকফুটে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। এনসিপি নেতা নবাব মালিক প্রথম থেকেই সমীর ওয়াংখেড়েকে নিশানা করেছিলেন এই মমলায়। জাল সার্টিফিটেক দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন। অন্যদিকে মুম্বইয়ে এজাতীয় মামলার সমীর ওয়াংখেড়ের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অনেকেরই অভিযোগ ছিল এভাবে মাদক মামলার ফাঁসিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন সমীর ওয়াংখেড়ে ও তার দলের সদস্যরা। যদিও সেইসংক্রান্ত কোনও প্রমান এখনও পর্যন্ত দাখিল হয়নি। যাইহোক এবার কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে সমীর ওয়াখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত হলে অনেক কথাই সামনে আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অর্থ মন্ত্রককে প্রাক্তন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার ৬ হাজার পৃষ্টঠার চার্জিশিট দাখিল করে। সেখানে মুক্তি দেওয়া হয়েছে আরিয়ান খানকে। তারপরই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমীর ওয়াংখেড়ে মুম্বই এসিবি-র প্রাক্তন জোনাল ডিরেক্টর ছিলেন। আরিয়ান খান ড্রাগ মামলায় তিনি ২২ জনকে গ্রেফতার করেছিলেন। কিন্তু মামলাটি নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠায় মুম্বই থেকে সেটি কেন্দ্রীয় স্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।