"তা হলে তো ম্যাক্সি পরেই কেটে যেত" পোশাক নিয়ে কী বললেন অপরাজিতা আঢ্য? জানলে চমকে যাবেন

বেশ কিছু দিন আগে মমতা শঙ্করের শাড়ির মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল নেট মাধ্যমে। এই নিয়ে পালটা মন্তব্য করেছিলেন টলিউডের বেশ কিছু তারকাও। এবার এই বিতর্ক নিয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন অভনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য।

Anulekha Kar | Published : Apr 6, 2024 6:41 AM IST

বেশ কিছু দিন আগে মমতা শঙ্করের শাড়ির মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল নেট মাধ্যমে। এই নিয়ে পালটা মন্তব্য করেছিলেন টলিউডের বেশ কিছু তারকাও। এবার এই বিতর্ক নিয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন অভনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য।

এদিন অপরাজিতাকে শাড়ি নিয়ে ওনার মতামত জিজ্ঞাসা করা হলে অভিনেত্রী বলেন, " শাড়ি পরার এই ধরন নিয়ে কিছু একটা চলছে। তবে কে কী বলেছেন, সেটা না জেনে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমার মনে হয়, কে কী ভাবে শাড়ি পরবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। আমার খুব ভাল চেহারা, আমি চাই মানুষের প্রশংসার তীব্রতা আমাকে আকর্ষণ করুক। তার চোখে দারুণ দেখতে লাগছে। কেউ যদি লো কাট ব্লাউজের সঙ্গে শিফন শাড়ি পরেন, তিনি যদি আত্মবিশ্বাসী হন, তা হলে পরবেন। আমরা তো নিজের জন্য জামাকাপড় পরি না, অন্যের আমাকে ভাল লাগবে বলে পরি। মানুষ যদি শুধু নিজের জন্য জামাকাপড় পরত, তা হলে তো ম্যাক্সি পরেই কেটে যেত। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মত, আমি নিজে এমন পোশাক পরব যা সর্বজনগ্রাহ্য। পোশাকের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি কী ধরনের বার্তা দিতে চাইছেন, সেটা তাঁর মানসকিতার উপর নির্ভর করে।"

আরও পড়ুন: বিবৃতির জন্যই কি তথাগত-র সঙ্গে সম্পর্কে চিড়? রাখঢাক না রেখে অবশেষে মুখ খুললেন দেবলীনা দত্ত

ওই সাক্ষাৎকারে সেলিব্রিটিদের একাধিক বিবাহ নিয়েও প্রশ্ন করা হয় অপরাজিতা আঢ্যকে। এই প্রসঙ্গে অপরাজিতা জানান, “দেখুন, সম্পর্ক টেকা না টেকা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। এমনকি পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপরেও নির্ভর করে। সম্পর্ক কেন নষ্ট হয়, সেটা একসঙ্গে না থাকলে বোঝা যায় না। আমার যদি সম্পর্ক না টেকে বা বঞ্চিত হই, তা হলে কি আমার জীবনে প্রেম আসতে পারে না! তা না হলে তো আমি নিজেই বিশ্বাস হারাব। আমি একটা ক্লাসে ফেল করতেই পারি, তা বলে সারা জীবন পড়াশোনা করব না এমন তো নয়। সুতরাং এক সম্পর্কে যখন ফেল করেছি, সেখান থেকে বেরিয়ে আর একটা সম্পর্ক যদি বিশ্বাস জোগায়, সেটা আমাকে নতুন করে পথ দেখাতে পারে। যদি সেটাও ফেল করে তা হলেও আশা শেষ হয় না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ এক জন প্রয়াত হলে, তখন যদি তাঁর জীবনে অন্য কেউ আসেন। কেউ যদি সুন্দর করে জীবনটা গুছিয়ে দেন, ক্ষতি কী! সেই তো একদিন মরে যেতেই হবে, যদি চলার পথে একটু আনন্দ পাই তাতে অপরাধ তো কিছু নেই।”

Share this article
click me!