
ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন বাংলাদেশের গায়ক নোবেল। আদালতের নির্দেশে অবশেষে সেই অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করল বাংলাদেশের এই বিতর্কিত গায়ক। বিয়ে করল কারাগারে।
কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের এক কলেজ ছাত্রী নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। সেই মহিলা অভিযোগ করে, গত বছর নভেম্বর মাসে নিজের স্টুডিও দেখানোর নাম করে গায়ক তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাকে ধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তারপর বহুদিন বাড়িতে সেই ছাত্রীকে আটকে রেখেছিল নোবেল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার, ঢাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আখতার অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেয়। গায়কের আইনজীবী জসিমউদ্দিন জানান, এদিন আদালতে উপস্থিত ছিল অভিযোগকারিণী। নোবেলের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হয়। উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হয়। বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ঢাকার চিফ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আখতার অভিযোগকারিনীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন নোবেলকে। গায়কের পক্ষ থেকেই নাকি লিখিতভাবে অভিযোগকারিনীকে বিয়ে করার অনুমতি চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হয়।
প্রসঙ্গত, সাত মাস ওই মহিলাকে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে নোবেলের বিরুদ্ধে। পরে নির্যাতিতার মা-বাবা গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ১৯ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয় নোবেলের বিরুদ্ধে। ২০ মে থেকে জেলে রয়েছে গায়ক। গ্রেফতার হওয়ার পরই নির্যাতিতাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করে নোবেল। কিন্তু কোনও প্রামণ দিতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল নোবেলের। সে সময় ঢাকার কলেজে পড়ত মহিলাটি। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হয়। শুনানির পর অভিযোগকারিনীকে বিয়ে করে নোবেল।
এই প্রথম নয়, এর আগেও নানান বিতর্কে জড়িয়েছিল নোবেল। মে মাসে এক মহিলাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।