সিরিয়ালের সেট থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম। ঘটা করে বিয়ে হয় দুজনের। তবে ভাঙন ধরার আঁচ সেভাবে কখনও পাননি ভক্তরা। নবনীতার কথায় তাঁরা তিন মাস ধরে আলাদা থাকছিলেন।
পাঁচ বছরের 'অপরাজিত' দাম্পত্যে চিড়। ভাঙন ধরল জিতু কমল ও নবনীতা দাসের সম্পর্কে। দুজনেই বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই খবর প্রথম জানা গিয়েছে টলিউডের ছোটপর্দার অভিনেত্রী নবনীতা দাসের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। কিছু দিন আগেই লন্ডন থেকে ফিরেছেন জিতু এবং নবনীতা। সেসময় দারুণ দারুণ ভিডিও দেখে মন ভরেছে ভক্তদের। তার পরেই কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত! প্রশ্ন সকলের মনে।
বৃহস্পতিবার সকালে নবনীতার পোস্টে চোখ আটকে যায় সবার। ফেসবুকে তিনি লেখেন 'টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবেনা... একজনের জন্য বানানো Green tea আর দুজনে মিলে ভাগ করে খাওয়া হবেনা...Towel শেয়ার হবেনা, Sun screen ভাগাভাগি হবেনা....
কিছুই আর একসাথে হবেনা...তবুও জানি এমতাবস্থায় আমাকে সব কিছু সামলানোর জন্য তুমি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে দিয়েছো, Gas booking থেকে Mediclaim pay সবটাই শিখিয়ে দিয়েছো..লেখার হাত আমার বরাবরই কাঁচা, এইটা তো তোমার কাজ ছিলো..তাও নিজে একটু চেষ্টা করলাম। তবুও এটাই শ্রেয়, কারণ আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই.....প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক...ভালো থাকো'.
সিরিয়ালের সেট থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম। ঘটা করে বিয়ে হয় দুজনের। তবে ভাঙন ধরার আঁচ সেভাবে কখনও পাননি ভক্তরা। নবনীতার কথায় তাঁরা তিন মাস ধরে আলাদা থাকছিলেন। কীভাবে এই পরিস্থিতি সামলানো উচিত, তা বুঝতে পারছেন না। কতটা এই বিষয়ে কথা বলা উচিত তাও বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার দুজন দুজনের সঙ্গে ভালো নেই। মতের অমিল হচ্ছে, বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্পর্কটা। তাহলে দুজনে একসঙ্গে লন্ডন কীভাবে গেলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে নবনীতা বলেন লন্ডন ট্রিপ প্রিপ্ল্যানড ছিল। হোটেল বুকিং থেকে ফ্লাইটের বুকিং সব করা ছিল। তাই যাওয়া।
আপাতত জিতু একের পর এক ছবিতে সই করে চলেছেন। আবারও লন্ডনে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবির শুটিং করতে যাওয়ার কথা নায়কের। অন্য দিকে, নবনীতাও শুরু করেছেন নতুন সিরিয়াল ‘বিয়ের ফুল’। ব্যক্তিগত জীবনের এই টানাপড়েন ভুলে এই মুহূর্তে কাজে মন দিতে চান অভিনেত্রী।
পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় দুজনের। তারপর ধীরে ধীরে কাজ করা কমিয়ে দেন নবনীতা। একবার বলেছিলেন কোনও কিছু আলোচনা করতে গেলে তিনি নিজেই জিতুর ডেট পান না। সেই কথাতেই কি লুকিয়ে ছিল বিচ্ছেদের আভাস! হয়ত ভাঙনের বীজ বুনে দিয়েছিল সময়ের অভাবই। তবে আর একসঙ্গে কখনও দেখা যাবে না এই টলি কাপলকে, সেই বিষয়টাই ব্যথা দিচ্ছে তাঁদের ভক্তদের।