আরজি কর কাণ্ডের অভিঘাতে গড়া নাগরিক মঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চার দফা দাবি জানিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা, পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কার, নিরাপদ গণপরিবহন এবং বিদ্যালয় সচেতনতা এই দাবিগুলোর নিয়ে চিঠি পাঠানো হল।
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা, পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কার, নিরাপদ গণপরিবহন এবং বিদ্যালয় সচেতনতা- এই চার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিল আরজি কররের অভিঘাতে তৈরি হওয়া নাগরিক মঞ্চ। সেখান থেকে অপর্ণা সেন জানান, মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে কাঠামোগত বদলের দীর্ঘমেয়াদি দাবিতে তারা আন্দোলন করে যাবেন।
বৃহস্পতিবার নতুন মঞ্চের তরফ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠিক করা হয়। যেখানে মমতাকে লেখা চিঠির প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে। চিঠিতে চারটি দাবির কথা লেখেন।
সাংবাদিক বৈঠকে অপর্ণা সেনের সঙ্গে ছিলেন আরজি কর কাণ্ডের পর রাত দখলের আহ্বান জানিয়ে পরিচিতি পাওয়া রিমঝিম সিংহ, সংযুক্ত কৃষক মোর্চার সংগঠক অভীক সাহা, যাদবপুরের পড়ুয়া তোর্ষা চট্টোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু. পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকেও চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।
এদিন অপর্ণা সেন বলেন, আরজি করের ঘটনা আমাদের সকলের মধ্যেই অভিঘাতের তরঙ্গ তৈরি করেছিল। আমাদের অনেকেরই ধারণা রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ রাজ্য। কিন্তু, ধারণা এবং বাস্তবতার মধ্যে যে ফারাক আছে তা আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, তাঁরা যে দাবি করেছেন, এই সকল প্রস্তাব শীঘ্রই পূরণ হবে এমন নয়।
অভীক বলেন, আমরা দলীয় রাজনৈতিক জামাকপড় ছেড়ে এসেছি। তবে আমরা অরাজনৈতিক নই। কারণ সানাজিক যে কোনও বিষয়ের সঙ্গেই রাজনীতি জড়িত।
আরজি কর কাণ্ডের ঘটনা কারও অজানা নয়। এক মহিলা চিকিৎসককে খুন করা হয়েছিব। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনা প্রশ্ন তোলে নারী নিরাপত্তার। ঘটনার প্রতিবাদ করতে সে সময় রাস্তায় নেমেছিলেন সাধারণ থেকে ডাক্তার, সেলেব সকলে। এরপর ধর্ণা দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার নারী সরক্ষা নিয়ে ফের সরব হল এই বিশেষ দল। ৫০ জনের সই করা চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠান হল।