
২ মে ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়। বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হত ১১৩ বছর। জন্ম থেকে একধিক প্রতিভা ছিল সত্যজিৎ রায়ের। একদিকে তিনি যেখন লিখতে পারতেন। তেমনই তিনি দুর্দান্ত ছবি আঁকতেন। উপেন্দ্র কিশোর রায়, সুকুমার রায়ের যোগ্য উত্তরসুরী। সত্যজিৎ রায়ের বিশ্বব্যাপী পরিচয় চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে হলেও তিনি ছবি আঁকতে পারতেন । গানের সুর দিতে পারতেন। তিনি পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের ৯টি প্রতিভা তাঁর জন্মদিনেই ফিরে দেখুন।
১। কর্মাশিয়াল আর্টিস্ট
সত্যজিৎ রায় কর্মজীবন শুরু করেছিলেন কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে। ১৯৪৩ সালে তিনি বিজ্ঞাপন সংস্থা ডিজে কিমারোতে যোগদান করেন। সেখানে প্রায় ১৩ বছর কর্মরত ছিলেন।
২। বিজ্ঞপন ফন্ট ও নকশা
বহু বিজ্ঞাপনের ফন্ট এবং নকশা নিজে হাতে এঁকেছেন সত্যজিৎ রায়য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিনেমা হল নন্দনের লোগোও সত্যজিৎ রায়ের তৈরি।
৩। পথের পাঁচালীর ভাবনা
পথের পাঁচালী তৈরি করার ভাবনা আসে কে গুপ্তের সিগনেট প্রেস নামে একটি প্রকাশনা সংস্থার জন্য আম আঁটির ভেঁপুর প্রচ্ছদ আঁকতে হয়েছিল তাঁকে। তখনই বিভূতিভূষণের লেখা মুগ্ধ করে তাঁকে।
৪। সুরকার
সত্যজিৎ রায় দক্ষ সুরকার ছিলেন। প্রথম দিকের কিছু ছবি বাদ দিয়ে তিনি বেশিরভাগ ছবির সুরকার তিনি নিজেই ছিলেন। তাঁর সুরে মিশে গিয়েছিল পাশ্চাত্য আর প্রাচ্য।
৫। লেখক
সত্যজিৎ রায় লেখক হিসেবেই পাঠকের মন কেড়ে নিয়েছেন। তাঁর চরিত্র 'ফেলুদা''জটায়ু ''তোপসে' আজও বাঙালি পাঠক আর দর্শনের মনে অনেকখানি জায়গা করে রয়েছে।
৬। সম্পাদক
১৯১৩ সালে সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পারিবারিক প্রকাশনা ইউ. রে অ্যান্ড সন্স শিশু পত্রিকা সন্দেশ প্রকাশ শুরু করেন। মাঝে সেটি বন্ধ ছিল বেশ কিছু বছর। ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায় যৌথভাবে ফের ওই পত্রিকা সম্পাদনার কাজ শুরু করেন।
৭। পরিচালক
পরিচালক হিসেবে সত্যজিৎ রায়ের নাম জগৎজোড়া। তাঁর মাধ্যমেই ভারতীয় ছবি বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছিল। চলচ্চিত্রকে তিনি মিথ ভেঙে অন্য একটি মাত্রা দিয়েছিলেন।
৮। আঙ্কন
সত্যজিৎ রায় দুর্দান্ত ছবি আঁকিয়ে ছিলেন। নিজের ছবি স্ক্রিপ্টেই তিনি ছবি এঁকে দৃশ্যায়ন করে রাখছেন। তাঁর লেখা বইয়ের ছবিও তাঁর নিজেরই আঁকা।