দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা তা নিজেই দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে শেয়ার করেছিলেন। এবার অভিনেত্রীর স্মৃতিচারণা করলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুবার ক্যান্সারকে জয় করেও এবার আর ঘরে ফেরা হল না ঐন্দ্রিলা শর্মার। দীর্ঘ ১৯ দিন ধরে লড়াই চালিয়েও আর শেষরক্ষা হল না। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিউডে। দীর্ঘদিন ধরে হাওড়ার হাসপাতালে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। মৃত্যুর সঙ্গে অদম্য লড়াই শেষ হয়ে গেল গত রবিবার। ২০ নভেম্বর টলিউডের একটা কালো দিন। দুপুর ১২ টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। বয়স কম বলেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে সেই আশা পূরণ হল না চিকিৎসকদের। সকলকে কাঁদিয়ে চিরদিনের মতো চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন তার সমস্ত ভক্তরা। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা তা নিজেই দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে শেয়ার করেছিলেন, যা কিনা ক্যান্সার আক্রান্তদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। কিন্তু সেই ঐন্দ্রিলার জীবনই স্তব্ধ হয়ে গেল মাত্র ২৪ বছর বয়সে।
ঐন্দ্রিলার প্রয়াণে গোটা টলিপাড়া শোকস্তব্ধ । এবার অভিনেত্রীর স্মৃতিচারণা করলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সত্যিই কিছু আর বলার নেই। এটুকুই বলতে পারি ওর আয়ু এতটুকুই ছিল। সবাই চেষ্টা করেছিল। আমরা সবাই চেষ্টা করেছিলাম, যাতে ও ফিরে আসে। আগের দুবারও তো লড়াইটা জয় করতে পেরেছিল। তবে এবার আর পারল না। ঐন্দ্রিলা ভীষণই হাসিখুশি একটা মেয়ে, ওকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে ওর শরীরে এত বড় একটা রোগ বাসা বেঁধেছিল। ওর সঙ্গে আরও একটু সময় কাটাতে পারলে ভাল হতো। আসলে মানুষ থাকাকালীন কেউই তার কদর বোঝে না। সেরকমই ঐন্দ্রিলার ক্ষেত্রেও হচ্ছে। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি। ও যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক।
২০১৫ সালে ১৬ টি কেমোথেরাপি এবং ৩৩ টি রেডিয়েশেনের পর ক্যান্সার মুক্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। অদম্য জেদ এবং বাঁচার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে ফের মারণ রোগকে হারিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে এবার আর শেষরক্ষা হল না। আচমকাই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তড়িঘড়ি করে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঐন্দ্রিলাকে। ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। ইন্ট্রা সেরিব্রাল হ্যামারেজ হয়েছিল ঐন্দ্রিলার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরআই করানো হয়। এই লড়াইয়ে শুরু থেকেই পাশে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মাও মেয়ের জন্য প্রার্থনা করতে বলেছিলেন সকলকে। অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন ভক্তরা। সকলেই অভিনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন। ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট-সকলের মুখেই এতদিন একটাই প্রার্থনা ছিল। এই ডাকে আর সাড়া দিলেন না ঐন্দ্রিলা । সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন জিয়নকাঠি নায়িকা ঐন্দ্রিলা শর্মা।
আরও পড়ুন-
'জিন্দেগি বড়ি হোনি চাহিয়ে, লম্বি নেহি', মাত্র পাঁচ বছরেই টলিপাড়ায় ছাপ ফেলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা
মন ভালো নেই বোজো-তোজোর, ঐন্দ্রিলাকে শেষ বিদায় জানাল তাঁর সন্তানসম পোষ্যরাও
মৃত্যুর সঙ্গে মেয়ে ঐন্দ্রিলার হারে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা, বললেন সব্যসাচীর কথা