সংক্ষিপ্ত
ঐন্দ্রিলার মাও ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। তিনিও ২ বার ক্যান্সারকে হারিয়ে ফিরেছিলেন স্বাভাবিক জীবনে। ভেবেছিলেন মেয়েও পারবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হেরে গেল মেয়ে। কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা।
টানা ২০ দিন , মেয়ে নিয়ে তিনি যেন যমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। মেয়েকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে রাতদিন এক করে হাসপাতালে থেকে ছিলেন। কিন্তু তাও মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে পারলেন না। আর মেয়ের শেষযাত্রায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন না। জানালেন তাঁর ছোট মেয়ের প্রাণশক্তির কথা। তিনি বলেন ঐন্দ্রিলা ছিল তাঁর সংসারের মেরুদণ্ড। তাঁর বড় মেয়ে ডাক্তার । কিন্তু সেও সবকিছু ছোট বোনকে জিজ্ঞাসা করেই করত।
ঐন্দ্রিলার মা আরও বলেন, সব্যসাচী তাঁকে বলেছেন, 'কারও সব আশা পূর্ণ হয় না। তাই তিনিও অপূর্ণ আশা নিয়েই থাকবেন।' সব্যসাচী-সহ গোটা পরিবার ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ে তার পাশে থেকেছিল। মৃত্যুর সময়ও কাছে ছিল গোটা পরিবার। পরিবারের সদস্যদের কথায় ঐন্দ্রিয়া নাকি বরাবরই সাজতে ভালবাসতেন। আর সেই কারণেই প্রিয় বোনকে শেষ যাত্রায় টিপ, লিপস্টিক আর চন্দনে সুন্দর করে সাজিয়ে বিদায় দিলেন।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকেও সোশ্যাল মি়ডিয়ায় জোর আলোচনার বিষয় তিনি। ভাইরাল হয়েছে একের এপর ছবি আর ভিডিও। পরিবারের সদস্য আর অনুগামীদের তোলা ভিডিওতেই ধরা পড়েছে প্রিয়জনদের কান্না ভেজে মুখগুলি। মা থেকে দিদি সকলেরও চোখে জল। উদাসমুখে বাবা। সেই রকমই একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চোখে বাঁধ ভাঙা জল দিদির। সেই অবস্থাতেই কাঁপা হাতে বোনকে সাজিয়ে দিচ্ছে। লিপস্টিক আর কাজল আর টিপ পরিয়েছেন। কপালে এঁকে দিয়েছেন চন্দনের ফোঁটা। চিরঘুমে ঐন্দ্রিলা- এসব কিছুই টের পেল না। কিন্তু নিয়ে গেল বড় দিদির অফুরান ভালবাসা। শেষ যাত্রায় সাজিয়ে দেন ফুলের সাজে।
ঐন্দ্রিলার মাও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মেয়ের মতই দুবার তাঁর শরীরে থাবা বসিয়েছিল মারণ রোগ। কিন্তু তাঁর অদম্য মনের জোরের কাছে হার মেনেছিল ক্যান্সারও। দুইবার ক্যান্সার সারিয়ে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলেন। তাই মেয়েও যে ক্যান্সারকে হারিয়ে দেবে তেমনি ভেবে ছিলেন তিনি। তাই মেয়ের লড়াইয়ে প্রতিটি পদে তাঁর পাশে ছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়ের মৃত্যুর কাছে হারের পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রীর মা।
আরও পড়ুনঃ
টিপ-লিপস্টিক আর ফুলের সাজে সাজিয়ে দিলেন দিদি, চুমু খেয়েই শেষ বিদায় জানালেন
মন ভালো নেই বোজো-তোজোর, ঐন্দ্রিলাকে শেষ বিদায় জানাল তাঁর সন্তানসম পোষ্যরাও
বিদায় ভালোবাসা, শেষ মুহূর্তে চোখের জলে ভাসলেন সব্যসাচী, ঐন্দ্রিলার পা আঁকড়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি