BREAKING NEWS : কলকাতায় লাইভ শো চলাকালীন হার্ট অ্যাটাক, প্রয়াত গায়ক কেকে

নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান চলাকালীন হার্ট অ্যাটাক। বেশি সময় নেননি। মৃত্যু হল সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের।

Parna Sengupta | Published : May 31, 2022 6:19 PM IST / Updated: Jun 01 2022, 01:05 AM IST

গাইতে গাইতেই চলে গেলেন গায়ক কে কে। নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান চলাকালীন হার্ট অ্যাটাক। বেশি সময় নেননি। মৃত্যু হল সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের। বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন। অসুস্থ হওয়ার পর ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার ময়নাতদন্ত হবে গায়ক কেকের। 

কলকাতায় একটি কনসার্ট চলাকালীন মারা যান গায়ক কে.কে. পারফরম্যান্সের সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপরই তাকে নিয়ে আসা হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বলিউড কাঁপানো এই গায়কের বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি হিন্দিতে ২০০টিরও বেশি গান গেয়েছেন। হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি।

তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় একটি কনসার্ট করতে এসেছিলেন গায়ক। কিন্তু কনসার্টের পর হঠাৎ করেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়, পরে রীতিমত অসুস্থবোধ করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত সবাই। গভীর রাতে এই খবর প্রকাশ পেতেই শোকে মুহ্যমান হয় বিনোদন দুনিয়া। কেকে-এর মৃত্যুতে গোটা বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবরটি সামনে আসতেই ক্রীড়া, বিনোদনসহ বিশ্বের অনেক বড় ব্যক্তিত্ব তাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিনেতা অক্ষয় কুমারও গায়কের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত গায়ক কে কে তার কণ্ঠে অনেক গান গেয়েছেন। ১৯৭০ সালের ২৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এই গায়ক। কে কে হিন্দি ছাড়াও মারাঠি, বাংলা, গুজরাটি, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড় এবং তামিল গানে তার কণ্ঠ দিয়েছেন। তার মিষ্টি কন্ঠ সবার মন ছুঁয়ে যায়। কে কে দিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুল থেকে তার স্কুলিং শেষ করেন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরোরি মাল কলেজ থেকে অনার্স গ্রাজুয়েট হন। চলচ্চিত্রে ব্রেক পাওয়ার আগেও কেকে প্রায় ৩৫০০টি জিঙ্গেল গেয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সমর্থনে 'জোশ অফ ইন্ডিয়া' গানটি গেয়েছিলেন। পরে, কে কে সঙ্গীত অ্যালবাম 'পাল' দিয়ে গায়ক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

স্নাতক শেষ করার পর, কে কে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরিও নেন। যদিও তার ভাগ্যে লেখা ছিল বলিউডে আসা। এমন পরিস্থিতিতে মাঝপথে চাকরি ছেড়ে বলিউডে এসে বিনোদন জগতে নাম কামিয়েছেন তিনি। 'হাম দিল দে চুকে সনম' ছবির 'তড়প তড়প কে ইস দিল সে' গানের মাধ্যমে বলিউডে বড় ব্রেক পেয়েছিলেন কেকে। এই গানের পর তিনি সেলিব্রিটি তকমা পেয়ে যান। তাঁর প্রধান গানের মধ্যে রয়েছে 'ইয়ারন', 'পাল', 'কোই কাহে কেহতা রাহে', 'ম্যায় দিল সে কাহা', 'আওয়ারাপান বানজারাপন', 'দস বাহানে', 'আজব সি', 'খুদা জানে' এবং 'দিল ইবাদত', 'তু হি মেরি শাব হ্যায়'-এর মতো গান।

Share this article
click me!