
দেওল পরিবার বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় পরিবার। এই পরিবার ধর্মেন্দ্র এবং সানি দেওলের মতো সুপারস্টার উপহার দিয়েছে। কিন্তু এই পরিবারের অনেক সদস্যকে খ্যাতি পেতে সংগ্রামও করতে হয়েছে। এই পরিবারেরই এক সদস্য আছেন, যিনি তাঁর একটি ছবির সাফল্যের পর পাওয়া খ্যাতির কারণে মুম্বাই ছেড়ে নিউইয়র্কে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এই সদস্য আর কেউ নন, ধর্মেন্দ্রর ভাগ্নে এবং সানি ও ববি দেওলের কাকাতো ভাই অভয় দেওল। এক সাক্ষাৎকারে অভয় নিজেই তাঁর জীবনের এই অজানা কাহিনী শেয়ার করেছেন।
‘হিউম্যানস অফ বোম্বে’র সাথে কথা বলতে গিয়ে অভয় দেওল জানান, যখন তাঁর ছবি 'দেব ডি' মুক্তি পেয়েছিল তখন হঠাৎ করেই তিনি মানুষের নজরে আসেন। তিনি খ্যাতি পাচ্ছিলেন এবং তা সামলাতে পারছিলেন না। তাঁর জন্য এই সময়টা এতটাই কঠিন ছিল যে তিনি মুম্বাই ছেড়ে নিউইয়র্কে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অভয়ের কথায়, "আমার পক্ষে খ্যাতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। কারণ আমি অতীতে ফিরে যেতে শুরু করেছিলাম, যখন আমি ছোট ছিলাম। আমি সংবেদনশীল ছিলাম এবং আমি নজর পছন্দ করতাম না। আমি শিল্প, সৃজনশীলতা এবং মাধ্যম পছন্দ করতাম। আমি জানতাম 'দেব ডি' বড় ছবি হতে চলেছে, কিন্তু আমি বিখ্যাত হতে চাইনি। কিন্তু সেই সময় আমি অভিনয়ও করতে চাইছিলাম। আমার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। আমি নেতিবাচকতার উপর বেশি মনোযোগ দিয়েছিলাম। আমি অনেক সমস্যার সমাধান করিনি। তাই আমি পালিয়ে গিয়েছিলাম, কারণ আমি বিখ্যাত হওয়া এবং তার সাথে আসা সমস্ত কিছু নিয়ে ভয় পেয়েছিলাম।"
অভয় আরও বলেন, "আমি জানতাম আমি সেখানে থাকব না। আমি নিউইয়র্কে 'দেব ডি'র চরিত্রের মতোই ছিলাম। আমি নেশায় ছিলাম এবং কোনও কাজ করছিলাম না। শুধু আমার টাকা নিয়ে খারাপ ব্যবহার করছিলাম। এটা একরকম অপচয় ছিল। আমি এটাকে অপচয় বলব না, কারণ আমি কিছু শিখেছি। কিন্তু এটা ধ্বংসাত্মক ছিল। আমি বাড়ি ফিরতে চাইছিলাম এবং নিজের এবং পরিবারের জন্য উপার্জন করতে চাইছিলাম। দায়িত্ব থাকলে আপনাকে ফিরতেই হবে। এটি একটি কাল্পনিক জগত। আমি জানতাম এটা স্থায়ী হবে না। এটি একটি অস্থায়ী পলায়ন ছিল।"
'দেব ডি' ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল, যার পরিচালনা করেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস 'দেবদাস'-এর আধুনিক রূপ। ছবিতে অভয়ের সাথে মাही গিল এবং কल्কি কোচলিনেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। প্রায় ১১ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবিটি গড়পড়তা ব্যবসা করে ভারতে প্রায় ১৫.৩০ কোটি এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০.০২ কোটি টাকা আয় করেছিল।