চোখের নিমেষে যেন কেটে গেল ২২ টা বছর। স্ত্রী টুইঙ্কেলের সঙ্গে ২২ বছর যে কীভাবে কাটিয়ে ফেললেন অক্ষয়, তা নিজেও ভেবে উঠতে পারছেন না। সম্প্রতি ২২ তম বিবাহবার্ষিকীতে আদরের টিনাকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বলিউডের খিলাড়ি।
অ্যাকশন হিরো বলতেই একটাই নাম মাথায় আসে, তিনি হলেন অক্ষয় কুমার। বলিউডের অন্যতম ফিটনেস ফ্রিক আইকন অক্ষয় কুমার। যিনি মার্শাল আটে পারদর্শী এবং ক্যারাটেতেও ব্ল্যাকবেল্ট রয়েছে। সর্বদাই শিরোনামে থাকেন অভিনেতা। একাধিক তারকাদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অক্ষয়ের। শেষমেষ ২০০১ সালে টুইঙ্কল খান্নার সঙ্গে গাটছড়া বেঁধেছিলেন অক্ষয় কুমার। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই বি-টাউন থেকে সরে যান টুইঙ্কল খান্না। দেখতে দেখতে অক্ষয়ের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ২২বছর পার করে ফেলেছেন টুইঙ্কল খান্না।
চোখের নিমেষে যেন কেটে গেল ২২ টা বছর। স্ত্রী টুইঙ্কেলের সঙ্গে ২২ বছর যে কীভাবে কাটিয়ে ফেললেন অক্ষয়, তা নিজেও ভেবে উঠতে পারছেন না। সম্প্রতি ২২ তম বিবাহবার্ষিকীতে আদরের টিনাকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বলিউডের খিলাড়ি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া দুজনের মিষ্টি একটি ছবি শেয়ার করে অক্ষয় কুমার লিখেছেন, দুজন অসম্পূর্ণ মানুষ ২২ বছর ধরে একে অপরকে সম্পূর্ণ করে চলেছে। শুভ বিবাহবার্ষিকী টিনা। অক্ষয়ের এই পোস্টে ভালবাসা ও শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে এই পোস্ট, দেখে নিন পোস্টটি,
১৯৯৫ সালে বারসাত ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় টুইঙ্কেল। তবে বিয়ের পর থেকে বলিউড থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন টুইঙ্কেল খান্না। একাধিক সুপারহিট ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন অক্ষয় ও টুইঙ্কেল। সূত্রের খবর, অক্ষয় যখন টুইঙ্কেলকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তখন টুইঙ্কেল বলেছিল, ছবি ফ্লপ হলে তবেই তারা বিয়ে করবে,অবশেষে ছবিটি ফ্লপ হয় এবং তাদের বিয়ে হয়। একটি ফোটোশুটে প্রথম দেখা হয় টুইঙ্কেল ও অক্ষয়ের। প্রথম দেখাতেই নাকি টুইঙ্কেলের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। খিলাড়ি ছবির শুটিং চলাকালীন দুজনে প্রেমে পড়েছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কেল জানিয়েছিলেন, অক্ষয়কে ১৫ দিনের জন্য প্রেমিক বানিয়েছিলেন। তারপর কিছুদিন একসঙ্গে থাকার পরই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য, বলিউডের শিল্পা শেট্টি, থেকে রবিনা ট্যান্ডন, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এমনকী সত্তরের দশকের এভারগ্রীন অভিনেত্রী রেখার সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল বলিউডের খিলাড়ির। ‘অ্যায়েতরাজ’ ছবির শুটিং চলাকালীন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন অক্ষয়। তখন থেকেই খবরের শিরোনামে ছিল এই জুটি।সালটা ২০০৫। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে খবরের শিরোনামে যখন অক্ষয়ের নাম উঠে এসেছিল তখন অক্ষয় বিবাহিত ছিলেন। প্রিয়ঙ্কার কথা জানতে পারার পরই টুইঙ্কেলের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় অক্ষয়ের। তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সবসময়েই লাইমলাইটের হট টপিক ছিল।তাদের অন স্ক্রিন রসায়ন এতটাই রোমাঞ্চকর ছিল, যে খুব তাড়াতাড়ি ,সকলের নজরে পড়েছিল। তারপর থেকেই তা স্ত্রী টুইঙ্কেলেরও নজরে পড়েছিল। টুইঙ্কল পুরোনো বিষয়টি বেশ কড়া হাতেই সামলেছিলেন। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্য আর নয়, সোজা জানিয়েছিলেন টুইঙ্কেল। বউয়ের চাপে পরেই প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছবি করা বন্ধ করে দিয়েছেন অক্ষয়।