জাভেদ আখতারের হোলি পার্টি যে জীবনের শেষ, তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সতীশ কৌশিক। জাভেদের বাড়ির হোলি পার্টিতে চুটিয়ে রং খেলেই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৯ মার্চ ভোর রাতেই চলে গেলেন বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেতা সতীশ কৌশিক।
এটাই যে জীবনের শেষ হোলি তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সতীশ কৌশিক। জাভেদ আখতারের হোলি পার্টি যে জীবনের শেষ হোলি তা-ই বা কে জানত। আসলে জীবন ভীষণই অনিশ্চিত। আর সেটাই যেন ঘটে গেল সতীশের সঙ্গে। জাভেদের বাড়ির হোলি পার্টিতে চুটিয়ে রং খেলেই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৯ মার্চ ভোর রাতেই চলে গেলেন বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেতা সতীশ কৌশিক। হাসিখুশি প্রাণখোলা মানুষের এই অকাল প্রয়াণ কোনওভাবেই যেন মেনে নিতে পারছেন না তার সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা।
ঘুম থেকে উঠে দুঃসংবাদ। বলিউডের নক্ষত্রপ্রয়াণে সকলের মনই ভারাক্রান্ত। জানা গিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েই তার হার্ট অ্যাটাক হয় এবং হৃদরোগো আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হয়েছেন সতীশ কৌশিক। মৃত্যুকালে অভিনেতা বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৬ বছর। অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা বলিউডে। এখনও যাওয়ার সময় হয়নি, আরও অনেক কিছু করার ছিল সতীশের । অভিনেতার প্রয়াণে স্তব্ধ তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজন।
মৃত্যুর একদিন আগে জাভেদ আখতারের বাড়ির হোলি পার্টিতে গিয়ে চুটিয়ে রংও খেলেছিলেন সতীশ কৌশিক। শাবানা আজমি এবং জাভেদ আখতারের পার্টিতে রঙিন হোলির একাধিক ছবিও নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন অভিনেতা। এদিন চুটিয়ে মজা করতে দেখা গেছে সতীশকে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় হোলির ছবি শেয়াক করে সতীশ লিখেছিলেন, রঙিন ও আনন্দে ভরা মজার হোলি পার্টি এবার মুম্বইয়ের জনকী কুটিরে। পুরো হোলি পার্টির আয়োজন করেছিলেন শাবানা আজমি এবং জাভেদ আখতার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নবদম্পতি রিচা চাড্ডা, আলি ফজল,মহিমা চৌধুরী সহ আরও অনেকেই। সকলের সঙ্গে দেখা হল। সবাইকে হোলির শুভেচ্ছা। একাধিক হ্যাশট্যাগ ও ফুলের স্টিকার দিয়ে পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। এই হোলির পার্টির ছবিতে রঙিন ভাবে থেকে গেলেন সতীশ কৌশিক।
ছবিতে সকলের সঙ্গে হাসি মুখে পোজ দেন অভিনেতা। চোখে কালো রোদচশমা এবং হালকা কমলা রঙের টি-শার্ট, ও সাদা প্যান্ট পরে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছে সতীশ কৌশিককে। প্রতিটা ছবিতে বরাবরেই মতো তার প্রাণখোলা হাসি, যেমনটা তিনি সবসময় থাকেন। তবে এটাই যে শেষ হাসি হবে তা কে জানত। বিশেষত কমেডি চরিত্র করেই সকলের মন জিতে নিয়েছিলেন সতীশ। চিত্রনাট্যকার হিসেবেও কাজ করেছেন বি-টাউনে। তার কমেডি যেভাবে মানুষের মুখে হাসি ফোটাত ঠিক সেভাবেই যেন হাসতে হাসতে পরলোকে পাড়ি দিলেন বলি অভিনেতা।