Bollywood Gossip: মধুবালা দিলীপ কুমারের সঙ্গে প্রেম করলেও বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমারকে

বলিউডে অভিনেত্রী হওয়ার পর বেশ কয়েকটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল প্রেম নাথ, কিদার শর্মা এবং কমল আমরোহি-সহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে।

 

Saborni Mitra | Published : Nov 26, 2023 4:17 PM IST

মধুবালা - নামটা উচ্চারণেই রয়েছে মাদতকা। একটি স্বপ্ন, রহস্য আর চৌম্বকীয় আকর্ষণ। মুমতাজ জেহান বেগম দেহলভ যাঁর আসল নাম, তিনি একটা সময় বলিউডের সাদাকালো পর্দা কাঁপিয়ে গেছেন মধুবলা নামে। সেই সময় অনেক তরুণের হার্টথ্রব ছিলেন তিনি। রাতের ঘুম কেড়েছিল তাঁর পর্দায় উপস্থিতি, সারল্য আর দুর্দান্ত হাসি। মৃত্যুর পর কেটে গেছে বহু যুগ। আসব সাগর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। কিন্তু এখনও , এই আধুন প্রজন্মে কিন্তু মধুবলাকে চেনে। নামের সঙ্গে পরিচিত। তাঁর সৌন্দর্যের চর্চা এখনও হয়। যাইহোক অনেকের রাতে ঘুম যে মধুবালা কেড়ে ছিলেন তাঁর প্রেম জীবন কিন্তু খুব একটা মসৃণ ছিল না। দিলীপ কুমার থেকে কিশোর কুমার - বেশ কয়েকজন এসেছিলেন মধুবালার জীবনে। কিন্তু মধুবালার সঙ্গে কিশোর কুমারের বিয়েটা ছিল অনেকটাই আচমকা।

মধুবলার বোন মধুর ভূষণ ফিল্ম ফেয়ারকে জানিছেন তাঁর দিদি বলিউডে অভিনেত্রী হওয়ার পর বেশ কয়েকটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল প্রেম নাথ, কিদার শর্মা এবং কমল আমরোহি-সহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তবে সেই সময়ের সেরা অভিনেতা দিলীপ কুমারের সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল রীতিমত গাঢ় আর চর্চার বিষয়ে। মধুর ভূষণ বলেছেন 'আপা প্রথমে প্রেমনাথের প্রেমে পড়েছিলেন। সম্পর্ক ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল। ধর্মের ভিত্তিতে ভেঙেছে। তিনি তাকে ধর্মান্তরিত করতে বলেন, এবং তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। পরের সম্পর্ক ছিল দিলীপ কুমারের সঙ্গে। তারানার সেটে ভাইজানের (দিলিপ কুমার) সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। পরে তারা সাংদিল, আমার এবং মুঘল-ই-আজম-এ কাজ করেন।' প্রায় ৯ বছর তাদের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মধুবালা আর দিলীপ কুমারের সম্পর্ক ভাঙার জন্য তিনি দায়ী করেছেন তাঁর বাবাকে। নয়া দৌড়ের সেটেই সম্পর্ক ভাঙে তাদের। সেই সময় মধুবালাকে মুম্বাইয়ের বাইরে শ্যুট করতে যেতে দেননি তাঁর বাবা। সেই ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে ছবির পরিচালক ও প্রযোজকের হয়ে সাক্ষী দিয়েছিলেন দিলীপ কুমার। তারপরই দুজনের বিচ্ছেদ।

 

মধুর ভূষণ আরও বলেছেন, কিছুটা তাড়াহুড়ে করেই মধুবালা কিশোর কুমারের সঙ্গে বিয়ে করেন। কিশোর কুমারের সঙ্গে তাঁর ৯ বছরের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ কুমার। তিনি এও জানিয়েছেন কিশোরার কুমারের দিক থেকে ভালবাসায় কোনও খামতি ছিল না।

 

মধুবালা ১৯৬০ সালে কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন। যদিও তাঁর আগেই ১৯৫৭ সালে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র বা ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট ধরা পড়েছিল। চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যাওয়ারও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু রোঘ ধরা পড়ার মাত্র দুই বছর বেঁচে থাকার পূর্বাভাস ছিল। ১৯৬৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মুখ নাক দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষণের কারণে মারা যান।

Read more Articles on
Share this article
click me!