'সবজি বিক্রেতাদের কাছে টাকা ধার করে স্কুলের বেতন দিয়েছেন বাবা'- অনুষ্ঠান মঞ্চে মুকেশের কষ্টের দিনের কথা বললেন ছেলে

নিতিন মুকেশ জানিয়েছেন, তাঁর বাবা বিখ্যাত হওয়ার পরেও অনেক দিন পর্যন্ত কঠোর সংগ্রাম করেছিলেব। তাঁদের আর্থিক প্রতিকূলতা এতটাই বেশি ছিল যে ছেলে মেয়েদেন স্কুলের বেতন দেওয়ার জন্য মুকেশ বাড়ির পাশের সবজি বিক্রেতার থেকে টাকা ধার করতেন।

Web Desk - ANB | Published : Dec 4, 2022 10:31 AM IST

প্রয়াত বলিউড প্লেব্যাক সিঙ্গার মুকেশ চাঁদ মাথুর- গোটা দুনিয়া তাঁকে মুকেশ নামেই চেনে। আওয়ারা হু থেকে শুরু করে মেরা জুতা হ্যায় জাপানি - এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। রাজ কাপুর থেকে শুরু দিলীপ কুমার- একাধিক অভিনেতার জন্য গান গেয়েছেন। তাঁকে জীবনে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে। 'সেলিব্রেটিং অফ মুকেশের ১০০ বছর' টেলিভিশন শো 'সা রে গা মা পা লি'ল চ্যাম্পস'এর উপস্থিত হয়ে মুকেশের ছেলে বাবার জীবনে কঠিন লড়াইয়ের কথা তুলে ধরলেন।

নিতিন মুকেশ জানিয়েছেন, তাঁর বাবা বিখ্যাত হওয়ার পরেও অনেক দিন পর্যন্ত কঠোর সংগ্রাম করেছিলেব। তাঁদের আর্থিক প্রতিকূলতা এতটাই বেশি ছিল যে ছেলে মেয়েদেন স্কুলের বেতন দেওয়ার জন্য মুকেশ বাড়ির পাশের সবজি বিক্রেতার থেকে টাকা ধার করতেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর বাবা রাজ কাপুর থেকে শুরু করেন মনোজ কুমার সুনীল দত্ত, দিলীপ কুমারের মত প্রথম সারির বলিউড অভিনেতাদের জন্য গান গেয়েছিলেন।

নিতিন মুকেশ আরও জানিয়েছে, তাঁর বাবার জীবনে এতটিই উত্থান আর পতন ছিল যা সচারচর অন্য কারও জীবনে দেখা যায় না। আর্থিক সমস্যা এতটাই বেশি ছিল যে মুকেশ দিনের পর দিন জল খেয়ে কাটিয়েছেন। এমন দিনও গেছে একমুঠো খাবারও জোগাড় করতে পারেননি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল 'আওয়ারা হুঁ' এবং 'মেরা জুতা হ্যায় জাপানি'-এর মতো বিখ্যাত গান গেয়ে তিনি 'দ্য মুকেশ জি' হয়েছিলেন এবং তারপরও ছয় থেকে সাত বছর ধরে সংগ্রাম করেছেন। যে একটা সময় ছিল যখন সে আমার এবং আমার বোনের জন্য স্কুলের ফি দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না।”

নিতিন মুকেশ আরও জানিয়েছেন,বাড়ির পাশের এক সবজি বিক্রেতা ছিলেন। তিনি তাঁর বাবার গান আর কণ্ঠশ্বর খুব পছন্দ করতেন। আর মুকেশকে খুব সম্মান করতেন। সেই কারণে তাদের পরিবারের আর্থিক সমস্যা হলেই সেই সবজি বিক্রেতা নিজেই ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিতেন। তবে মুকেশ বা সেই সবজি বিক্রেতা তাঁকে এই কথা কোনও দিনও বলেননি। এই সমস্যার কথা তাদের জানিয়েছেন তাদের মা। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর মা-ই তাদের বলেছেন গায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ঠিক কতটা কষ্ট করতে মুকেশকে।

Share this article
click me!