ঐশ্বর্যা রাই মা হতেই কেন রেগে গেলেন রামগোপাল ভার্মা? জানুন কী বলেছিলেন অভিষেককে

পরিচালক রাম গোপাল ভার্মা প্রতিটি বিষয়কেই একটু অন্যভাবে দেখেন। তাই তিনি ট্রেন্ড সেটার পরিচালক। সমাজের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, এমনটাই বলেন ভার্মা। তিনি স্পষ্টবাদী। মনের কথা মুখ ফুটে বলেন।
 

মেয়েদের সৌন্দর্যের ভক্ত তিনি। সকালবেলায় মদ্যপান করেন। সম্পর্ক, আবেগ তাঁর নেই। ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। ঐশ্বর্যা রাইকে নিয়ে ভার্মা অতীতে রসালো মন্তব্য করেছিলেন। ঐশ্বর্যার গর্ভধারণের খবর শুনে তিনি নাকি তৎক্ষণাৎ তাঁকে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। 

১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট জয়ী ঐশ্বর্য রাই চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছিলেন এবং একের পর এক সাফল্যের পরিচয় দিয়েছিলেন। তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন সকলে। এছাড়াও তিনি একজন দুর্দান্ত অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী। এই গুণগুলি তাঁকে একজন অনন্য তারকা করে তুলেছে। 

দুই দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করা ঐশ্বর্য রাইয়ের জীবনে বিতর্কও কম নেই। তিনি বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। তাদের প্রেমের মাঝে হাজির হন সালমান খান। বিবেককে ছেড়ে সালমানের সাথে কিছুদিনের জন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঐশ্বর্যা। সালমান তাঁকে নির্যাতন করায় তিনি সম্পর্ক ভেঙে দেন। 

পরে অভিষেক বচ্চনের প্রেমে পড়েন। ২০০৭ সালে ঐশ্বর্যা রাই এবং অভিষেক বচ্চনের বিয়ে হয়। এরপর ২০১১ সালে ঐশ্বর্যা রাই মা হন। কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সেই সময় এই খবর ছিলো একটি সেনসেশন। ঐশ্বর্যা রাই দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মেয়ে আরাধ্যকে মিডিয়ার সামনে আনেননি। ঐশ্বর্যার মেয়ে কেমন দেখতে তা দেখার জন্য সকলের মনে কৌতূহল ছিল।

কিন্তু রাম গোপাল ভার্মা নাকি খুবই হতাশ হয়েছিলেন। ঐশ্বর্যা রাইয়ের গর্ভধারণের খবর শুনে তিনি নাকি তৎক্ষণাৎ তাঁকে একটি লম্বা মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। ''তুমি মা হওয়ায় আমি খুবই হতাশ। মা হলে তোমার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। তুমি তোমার সৌন্দর্য হারাবে। তোমার মতো সুন্দরী মেয়েদের বাচ্চা করা উচিত নয়? 

অভিষেক, তুমি খুশি কিনা জানি না। তুমি যদি বলো খুশি, তাহলে আমিও খুশি অভিনয় করব..'' ভার্মা এমনটাই লিখেছিলেন মেসেজে। ভার্মার মেসেজ পড়ে ঐশ্বর্যা রাই নাকি ''আই লাভ ইউ,'' বলে জবাব দিয়েছিলেন। ঐশ্বর্যা আমাকে বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি এমন জবাব দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ভার্মা। 

মেয়েদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় সন্তান। তাই আমার বাচ্চারা পছন্দ নয়, বলে জানিয়েছেন ভার্মা। বাচ্চাদের এত অপছন্দ করলেও ভার্মা নিজে একটি মেয়ের বাবা। পরে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। তার মেয়ে তার মায়ের কাছেই থাকে।