
মক ড্রিল নিয়ে খুশবু পটানির মন্তব্য: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার অর্থাৎ ৭ মে দেশজুড়ে ২৪৪টি জেলায় মক ড্রিল করার নির্দেশ দিয়েছে। অপরদিকে, পহেলগাম জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে অপারেশন সিন্দুরের আওতায় গভীর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ঢুকে তাদের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরই মধ্যে দিশা পটানির দিদি খুশবু ইনস্টাগ্রামে ভিডিও শেয়ার করে এই অপারেশনকে সমর্থন জানিয়েছেন, একইসাথে সবাইকে মক ড্রিল করতে বলেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি মানুষের জন্য একটি ক্র্যাশ কোর্স ভিডিওও শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে ড্রিলের সময় কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়।
দিশা পটানির দিদি খুশবু ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট। খুশবু যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, তাতে বলা হয়েছে শত্রুপক্ষের হামলা, বিমান হামলা বা ব্ল্যাকআউটের সময় মানুষের কী করা উচিত। তিনি এও বলেছেন যে হামলার সময় আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। খুশবু ভিডিওতে বলেছেন, বিমান হামলার সময় সাইরেন শুনলে প্রথমেই কী করা উচিত। তিনি বলেছেন, সাইরেন শুনলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এমন জায়গা খুঁজে বের করতে হবে যা বাঙ্কারের মতো কাজ করতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, বিমান হামলার সময় যারা বাড়িতে আছেন, তাদের গ্রাউন্ড ফ্লোর বা বেসমেন্টে গিয়ে লুকিয়ে থাকা উচিত। তিনি বলেছেন, এমন সময়ে পার্কিংয়ে লুকিয়ে থাকা সবচেয়ে ভাল, কারণ এটি বাঙ্কারের মতো কাজ করে।
খুশবু পতানি ব্ল্যাকআউট নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এমন সময়ে মানুষের বাড়ির সব আলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ও এ ধরনের ব্ল্যাকআউট ব্যবহার করা হয়েছিল। খুশবু আরও বলেছেন, ব্ল্যাকআউটের সময় মানুষের কাছে ছোট টর্চ রাখা উচিত বা ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করা উচিত। আরও বিস্তারিত জানতে খুশবুর ভিডিও দেখা যেতে পারে।
এদিকে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হানল ভারতীয় বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভারত আঘাত করে। চারিদিকে যখন ঘুটঘুটে অন্ধকার, কখন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। কামিকাজে ড্রোন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জেহাদি ঘাঁটিতে হামলা চালাতে ব্যবহার করা হল মারণাস্ত্র কামিকাজে ড্রোন (kamikaze drone)।