'ক্রাশ'-কে ছেড়ে অজয়কে বিয়ে করার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে এই কারণ, মুখ খুললেন কাজল

কাজলের পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কাজল অনড় থাকায় বাধ্য হয়েই মেনে নেন কাজলের পরিবার। তারপরই বাবাকে রাজি করিয়ে ১৯৯৯ সালে পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে ঘরোয়াভাবেই বিয়ে সারেন দুজনে।

Riya Das | Published : Nov 4, 2022 11:49 AM IST

পর্দার গল্প এবার বাস্তবে। যদিও এ আবার নতুন কি। এ তো হামেশাই ঘটে চলেছে রিল থেকে রিয়েল লাইফে। কিন্তু এখানেই রয়েছে আসল চমক। অভিনেতা- অভিনেত্রীদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যাদের রিল লাইফের গল্পটাই রিয়েল লাইফে ঘটেছে। আর তাদের মধ্য অন্যতম একজন হলেন বলি ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নায়িকা কাজল। 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' ছবিতে বন্ধুত্বের মধ্যেও ত্রিকোণ প্রেম দেখানো হয়েছিল। প্রিয় বন্ধু কাজলকে ছেড়ে রানিকে ভালবেসেছিলেন শাহরুখ খান। আর সেটা মেনে নিতে না পেরে সব ছেড়ে চলে গেছিলেন কাজল। এটা সবারই জানা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজলকে ভালবাসার কথা বলেছিলেন বলেই হয়তো সলমনের সঙ্গে বিয়েটা আর হয়নি কাজলের। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা পুরো আলাদা। জানুন সেই কাহিনি।

বলিউডের সেরা রোমান্টিক জুটি । বাস্তবে কাজল ও শাহরুখ খান দুজনেই খুব ভাল বন্ধু। প্রথমসারির জুটি হিসেবে যেমন তাদের পরিচিতি রয়েছে ঠিক তেমনই বন্ধুত্বের রসায়ণও তাদের খুবই ভাল। বলিউডের সেরা রোমান্টিক জুটি। একের পর এক ছবি করে বক্স অফিস মাত করে রেখেছে। আর সেই হিট জুটিকেই দর্শক সবসময়ে পর্দার বাইরেও দেখতে চেয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা আর দেখা হয়নি দর্শকদের। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক অনেকেরই হয়। তবে তাদেরটা কেন হল না। এই নিয়েও নানা মত রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সত্য।

একটি গেম শো চলাকালীন এক ভক্ত কাজলকে প্রশ্ন করেছিল, 'অজয় দেবগণের সঙ্গে বিয়ে না হলে আপনি কি শাহরুখ খানকে বিয়ে করতেন'?আর তাতে কাজলের সটান উত্তর, 'ও তো আমায় কখনও প্রোপোজ করেনি। যদি প্রোপোজ করত তাহলে একবার ভেবে দেখতাম'। এতদিন পরও আবারও তাদের বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই ভাইরাল হয়েছে কাজলের এই বক্তব্য। যদিও কাজল ও শাহরুখ এতটাই ভাল বন্ধু যে তারা যা কিছু নিয়েই মজা করতে পারেন। কিন্তু কাজলের বিয়ের অনেক আগেই গৌরিকে বিয়ে করেছেন শাহরুখ খান। আর তারপর কাজলও অজয় দেবগণের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন। তাই বন্ধুত্বটা ছিল তাদের মধ্যে প্রেমটা আর কোনওদিনই হল না বলিউডের সেরা রোমান্টিক জুটির। ২৫ বছর আগে দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল হালচাল ছবির সেটে। তারপরেই ধীরে ধীরে আলাপ হয়, বাড়তে থাকে বন্ধুত্ব। আর তারপরই মন বিনিময় হয়েছিল দুজনের মধ্যে। আর সেই সময়ে দুজনেরই একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। এভাবেই চলতে থাকেন কাজল-অজয়। ৪ বছর পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। অজয়ের বাবা-মা তাদের বিয়েতে রাজি ছিলেন। কিন্তু কাজলের বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে কেরিয়ারে মনোযোগ দিক। কাজলের পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কাজল অনড় থাকায় বাধ্য হয়েই মেনে নেন কাজলের পরিবার তারপরই বাবাকে রাজি করিয়ে ১৯৯৯ সালে পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে ঘরোয়াভাবেই বিয়ে সারেন দুজনে। কাজল আরও জানিয়েছেন, যখনই তারা একে অপরের সঙ্গে ঝামেলা করেন তখন ঘন্টার পর ঘন্টা তারা ঘরে বসে থাকলেও একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না।

 

Share this article
click me!