
ফের খবরের শিরোনামে বলিউড চিত্র পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। অনুরাগ কাশ্যপ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) এবং ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের একটি অংশের সমালোচনা করেছেন। শুধু তাই নয়, বেশ বিতর্কিত ভাষায় ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়কে ঠুকেছেন তিনি।
কাশ্যপ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের একটি অংশকে উদ্দেশ্য করে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন। প্রশংসিত কিন্তু বিতর্কিত এই পরিচালক কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড (সিবিএফসি) এবং কিছু ব্রাহ্মণ গোষ্ঠীর তীব্র সমালোচনা করে আবারও জাতীয় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন।
'ফুলে' বিতর্ক
মহারাষ্ট্রের ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের সমালোচনার পর অনন্ত মহাদেবনের জীবনীমূলক ছবি 'ফুলে'-র মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিতে প্রতীক গান্ধী জ্যোতিরাও ফুলে এবং পত্রলেখা সাভিত্রিবাই ফুলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, দুই সমাজ সংস্কারকের বিপ্লবী অবদান তুলে ধরেছেন।
৭ই এপ্রিল সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে 'ইউ' সার্টিফিকেট দিলেও বেশ কিছু সম্পাদনা করার দাবি জানায়, যার মধ্যে 'মহার', 'মাং', 'পেশোয়াই' এর মতো জাতিগত উল্লেখ এবং '৩০০০ বছরের পুরনো গোলামি' কে 'কয়েক বছরের পুরনো গোলামি' তে পরিবর্তন করার দাবি ছিল। মহাদেবন নিশ্চিত করেছেন যে এই পরিবর্তনগুলি করা হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন অনুরাগ, জানেন? তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন 'ব্রাহ্মণদের গায়ে আমি পেচ্ছাপ করি'! অনুরাগ ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, “আমার জীবনের প্রথম নাটক ছিল জ্যোতিবা এবং সাভিত্রিবাই ফুলে-র উপর। ভাই, যদি এই দেশে জাতিভেদ না থাকত, তাহলে তাদের লড়াই করার কি দরকার ছিল? এখন এই ব্রাহ্মণরা লজ্জিত বোধ করছে, নাকি লজ্জায় মারা যাচ্ছে, নাকি অন্য কোন ব্রাহ্মণ ভারতে বাস করছে যা আমরা দেখতে পাচ্ছি না, বোকা কে, কেউ কি বুঝিয়ে বলবে। অনন্ত মহাদেবনের পরিচালনায় এবং প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখার অভিনয়ে নির্মিত এই ছবিটি প্রথমে ১১ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও বিতর্কের কারণে ২৫ এপ্রিল মুক্তি পায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।