রাজকীয় বিয়ে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে । সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার বিয়ে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। যদিও শেষ মুহূর্তে বদলে গেল সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার বিয়ের দিনক্ষণ। আগামী ৭ তারিখ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা।
বিয়ের সানাই বাজল বলিউডে। আবার বিগ ফ্যাট ওয়েডিং দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে গোটা বলিউড। সমস্ত জল্পনাকে সত্যি করে জয়সলমেরে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা। একে একে অতিথিরাও পৌঁছে গেছেন জয়সলমেরে।
ইতিমধ্যেই সেজে উঠছে সূর্যগড় প্রাসাদ। খুব বেশি লোকজন নয় বরং পরিবার এবং খুব কাছের বন্ধু বান্ধবদের নিয়েই বিয়ে সারতে চান তারকা জুটি। জানা গিয়েছে আমন্ত্রিতদের তালিকাতেও রয়েছে মাত্র ১০০ জন। বিয়েতে নিমন্ত্রিতদের জন্য বিলাসবহুল বন্দোবস্ত করছেন সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা।
বলি ইন্ডাস্ট্র্রির বাছাই করা তারকারা তো রয়েইছে, পাশাপাশি ছোটবেলার বন্ধু ইশাও স্বামী আনন্দ পিরামলের সঙ্গে পৌঁছে গেছেন। এয়ারপোর্টে পাপারাৎজির ক্যামেরায় লেন্সবন্দি হয়েছেন আম্বানি কন্যা ইশা আম্বানি।
কিয়ারা আগেই জানিয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের তালিকায় একজন হলেন ঈশা আম্বানি। শুধু তাই নয় ছোটবেলা থেকে এখনও পর্যন্ত ইশা এবং কিয়ারা বন্ধুত্ব অটুট। নার্সারির সহপাঠীর বিয়েতে একদিন আগেই পৌঁছে গেছেন ইশা আম্বানি।
কিয়ারা আদবানি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ইশা আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একদম ছোটবেলা থেকেই আমার একসঙ্গে বড় হয়েছি। আমার সব প্রিয় বান্ধবীরাই আমার স্কুলের বন্ধু।
ছোটবেলায় এক স্কুলেই পড়াশোনা করত কিয়ারাও ইশা। সেই ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে এখনও দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। ইশার সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কিয়ারা বলেন, অনেকেই মনে করেন ইশা তার বন্ধু হওয়ায় কাজের ক্ষেত্রে তাকে কোনও পরিশ্রম করতে হয়নি।
কিয়ারা এটাও যোগ করেন, এটা শুনতে তার ভাল লাগলেও ইশা শুধু মাত্রই তার ব্রেস্ট ফ্রেন্ড, ইশার সঙ্গে তার কর্মজীবনের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে লোকে যদি এটা মনে করেন, তাতেও কোনও সমস্যা বা অভিযোগ নেই কিয়ারার।
ইশা আম্বানি বাবা মুকেশ আম্বানি ও কিয়ারা আদবানির বাবা জগদীপ আদবানি ভীষণ ভালো বন্ধু। তাই ইশা আর কিয়ারার বন্ধুত্ব শুধু ছোটবেলার বন্ধুত্বে সীমাবদ্ধ নয়, তারা পারিবারিক ভাবেও একে অপরের বন্ধু।