দক্ষিণের ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ছবিগুলো তখন বক্সঅফিসে তুমুল সফল। বসে বসে মার খাচ্ছিল বলিউডের পরপর ছবি। প্রযোজক, পরিচালকদের মাথায় হাত। দীপাবলির আগে টাটকা বাতাস হয়ে এসেছিল অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’।
আগুনের তাপে নিজেকে সেঁকতে হয়েছে! ছবি ব্লকবাস্টার হিট হওয়ার পরে এই প্রথম 'ব্রহ্মাস্ত্র'-এ তাঁর চরিত্র নিয়ে মুখ খুললেন রণবীর কাপুর। তাঁর কথায়, অয়ন মুখোপাধ্যায় আক্ষরিক অর্থেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়েছেন। তবে ছবির সাফল্য এসেছে। নায়কের দাবি, ‘‘শিবা’ হতে গিয়ে নিজেকে আমূল বদলে ফেলতে হয়েছিল। শিবার মতোই ওঠা-বসা, হাঁটা-চলা করতে হয়েছে। চরিত্রের যাবতীয় বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে ধারণ করতে হয়েছে। অয়ন ‘শিবা’র সঙ্গে আগুনের গভীর সম্পর্ক ছবিতে দেখিয়েছেন। তার জন্য আমাকে আগুনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়েছে। শরীরে-মন সেঁকে নিতে হয়েছে সেই তাপে। নিজেকে বাঁচাতে আলাদা প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে। তবে আজ সবাই শিবাকে দেখে মুগ্ধ!’’
দক্ষিণের ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ছবিগুলো তখন বক্সঅফিসে তুমুল সফল। বসে বসে মার খাচ্ছিল বলিউডের পরপর ছবি। প্রযোজক, পরিচালকদের মাথায় হাত। দীপাবলির আগে টাটকা বাতাস হয়ে এসেছিল অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। মুক্তির কয়েক দিনের মধ্যেই কোটির ক্লাবে পা। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, এই বছরের সব চেয়ে বড় ব্লকবাস্টার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। প্রেম এবং আলোর শক্তির কাছে জগতের সমস্ত অন্ধকার, সমস্ত অন্যায় কী ভাবে হেরে যায়, দেখিয়েছে এই ছবি। বড় পর্দায় মুক্তির পরেও তাই দর্শকদের চাহিদা মেনে এ বার ছবিটির ডিজিটাল প্রিমিয়ার। হিন্দি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং মালায়লাম— এই পাঁচ ভাষায় ৪ নভেম্বর থেকে ছবিটি ঘরে বসে দেখা যাবে ডিজনি+ হটস্টারে। ছবির প্রযোজক স্টার স্টুডিওস এবং ধর্মা প্রযোজনা সংস্থা।
জনপ্রিয় কারণ শুধুই রণবীরের পরিশ্রম? নায়কের পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পরিচালকও। দর্শকদের ধারণা, রণবীরের পাশাপাশি আলিয়া, অমিতাভ বচ্চন, নাগার্জুন, মৌনি রায় এবং পরিচালকও সমান কৃতিত্বের দাবিদার। কী বলছেন অয়ন? দর্শকদের এই দাবি মেনে নিয়েছেন তিনিও। আরও বলেছেন, "ব্রহ্মাস্ত্র' প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির ছায়াছবি। যা ভারতীয় দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত। এই ছবি সবাইকে বৈদিক যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।" পাশাপাশি, দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়ার অস্ত্রেই তাদের ঘায়েল করেছেন অয়ন। তাদের মতোই সমান মাপের 'লার্জার দ্যান লাইফ' ছবি বানিয়ে। একই সঙ্গে ছবির পরতে পরতে ভিজ্যুয়াল প্রযুক্তির গন্ধ, ভিএফএক্সের কারিকুরি। যা দর্শককে প্রতিটি দৃশ্যে রোমাঞ্চিত করেছে।
অয়নের আরও দাবি, "এখনও প্রেমের ছবি সবার মনে দাগ কাটে। তাই এ ছবি সফল। পাশাপাশি বড় ভূমিকা ছবির গানের। প্রায় প্রতিটি গান জনপ্রিয়। যা ছবিকে সফল করতে সাহায্য করেছে। "