
Salman Khan House Firing: বলিউড সুপারস্টার সলমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার, মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে যে অভিযুক্ত দুজনকেই গুজরাটের ভুজ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযুক্তদের নাম ভিকি গুপ্তা ও সাগর পাল। ১৪ এপ্রিল, রবিবার মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সলমান খানের অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালায় ভিকি ও সুনীল।
সলমানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর আগে তারা দুজনেই গত এক মাস ধরে মুম্বাই সংলগ্ন পানভেল এলাকার একটি সোসাইটিতে ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। দুজনেই বলিউড তারকার বাড়িতে রেকিং করে তারপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটান। সোমবার রাতে ভুজ থেকে দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এই দুই অভিযুক্তই বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলার বাসিন্দা। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকালে তাদের ভুজ থেকে মুম্বাই আনা হবে।
ভোর ৫টায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালানো হয়-
মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে যে বাইকে আসা দুই হামলাকারী ব্রান্ডায় সলমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। গুলিবর্ষণের পর অভিযুক্ত দুজনই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি চালানোর সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন সলমান খান। তবে এই হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।
হামলাকারীরা বাইক ফেলে পালিয়ে যায়-
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, গুলি চালানোর পর হামলাকারীরা সলমানের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাউন্ট মেরি চার্চের কাছে মোটরসাইকেলটি রেখে গিয়েছে। হামলাকারীরা কিছুদূর হেঁটে বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনে একটি অটোরিকশা নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা বোরিভালির দিকে যাওয়ার ট্রেনে উঠেছিল কিন্তু সান্তা ক্রুজ রেলওয়ে স্টেশনে নেমে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর এরা মুম্বাই থেকে পালিয়ে গুজরাটের ভুজে গিয়ে গা ঢাকা দেয়।
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাইজানের উপর হামলার দায় স্বীকার করেছিলেন-
একই সময়ে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই সলমানের বাড়িতে গুলি চালানোর দায় স্বীকার করেছিলেন। জেলে থাকা লরেন্স বিষ্ণোই এবং ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার সালমান খানকে কয়েকবার হত্যার হুমকি দিয়েছেন। সূত্রের খবর, সলমানকে হত্যার জন্য বিষ্ণোই এবং ব্রার তাদের শ্যুটারদের মুম্বাই পাঠিয়েছিলেন।
১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলার কারণে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল সলমান খানকে হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। কালো হরিণ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে মনে করা হয়।