সিমির প্রেমে পথের কাঁটা শর্মিলা ঠাকুর, অভিনেত্রীর প্রেমিকের তালিকায় রতন টাটা ও মহারাজাও ছিলেন
বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন সিমি গারেওয়াল। রিল লাইফ থেকেও তাঁর রিয়েল লাইফ নিয়ে আলোচনা অনেক বেশি। ব্রিটেনে পড়াশুনা- স্মার্টলুক আর দুর্দান্ত ইংরেজি বলা সিমির লাভ লাইফও ছিল অন্যরকম। নবাব মনসুর আলি পতাউদি , রতন টাটা - ছিলেন প্রেমিক।
১৭ অক্টোবর ১৯৪৭ সালে দিল্লিতে সেনা পরিবারের জন্ম। তাঁর বাবা ছিলেন ব্রিগেডিয়ার। ছোটবেলা কেটেছে ইংল্যান্ডে। সেখানেই পড়াশুনা। তবে রাজকাপুরের আওয়ারাই তাঁকে রুপালি পর্দায় আকৃষ্ট করেছিল। ৫ বছর বয়স থেকেই অভিনেত্রী হয়ওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
রুপলি পর্দাট টানে
ইংল্যান্ড থেকে মুম্বই তৎকালীন বোম্বাই শহরে আসেন সিমি। ঝকঝকে ইংরেজি বলতে পারার সুবাদে একটি ইংরেজি ছবিতে অভিনয়। তারপর দীর্ঘ পাঁচ বছর একাধিক সিনেমায় অভিনয় করার পরে রাজকাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ। সেখানেই রাজকাপুরের স্বপ্নের প্রজেক্ট মেরা নাম জোকারে অভিনয়। তাও আবার বোল্ড সিনে অভিনয়।
রাজপুরের সঙ্গে প্রেম
একটা সময় রাজকাপুর আর সিমির প্রেম ছিল বিটাউনে গুঞ্জন। যদিও সিমি রাজকাপুরের থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট ছিলেন। যাইহোক। তার আগে অবশ্য মাত্র ১৭ বছর বয়সেই জামনগরের মহারাজার প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। তিন বছর স্থায়ী ছিল তাঁদের সম্পর্কর।
জীবনে মনসুর আলি খান পতাউদি
তারপর সিমির জীবনে আসেন মনসুর আলি খান পতাউদি। তাঁর সঙ্গে টানা দুই বছর ডেট করেন সিমি। একটা সময় পতাউদি সিমিকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু তারপরই ছন্দপতন।
প্রেমে কাঁটা শর্মিলা
পতাউদির জীবনে আসনে শর্মিলা। সিমি পতাউদির প্রেমে ইতি পড়ে সেখানেই। তবে শোনাযায় তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। সিমির টকশোতে এসে সেই কথা বলেছিলেন পতাউদি।
রতন টাটার সঙ্গেও প্রেম
শোনা যায় সিমির প্রেমিক ছিলেন রতন টাটা। তবে এই বিষয়ে তাঁরা কেউ কোনও কথা বলেননি প্রকাশ্যে। কিন্তু সিমির টকশোয়ে রতন টাটা উপস্থিত হয়ে জানিয়েছিলেন বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে তা হয়নি।
রতন টাটার কথা সিমির মুখে
যদিও রতন টাটার কথা সিমি একবারই বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন রতন টাটা খুব মজার মানুষ। নিপাট ভদ্রলোক। তবে অর্থ কখনই রতন টাটার চালিকা শক্তি হতে পারেনি।
বিয়ে আর বিচ্ছেদ
একাধিক প্রেম করলেও একটি মাত্র বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। তাও তাঁর বিবাহিত জীবন ছিল মাত্র ৩ বছরের। তিন মাসের আলাপে সিমি দিল্লির ব্যবসায়ী রবি মোহনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২৭ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল সিমির।
একা সিমি
বর্তমানে একাই থাকেন সিমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত অ্যাক্টিভ। একাধিক বিষয়ে নিজের মতামত জানাতে পিছপা হন না। তিনি নিজের মত করেই বাঁচার চেষ্টা করেন। আপেষ করতে রাজি নন সিমি।
সিমির কেরিয়ায়
একাধিক ছবি করলেও সিমি অভিনীত কর্জ, মেরা নাম জোকার ছিল অনবদ্য। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি টকশো- রদেভু ইউথ সিমি গারেওয়াল - দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তাঁর টকশোতে সমাজের নামি দামি ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে মনের কথা খুলে বলত।