দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এরমধ্যে বিতর্কের আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে বাংলার বুকে এই ছবির উপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ পরিচালক সুদীপ্ত সেন।
দ্য কেরালা স্টোরির উপরে নিষেধাজ্ঞা পশ্চিমবঙ্গের বুকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনের কিছু পরেই এই নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ হওয়ায় বিষ্মিত পরিচালক সুদীপ্ত সেন। তিনি নিজে এই বাংলার ছেলে। উত্তরবঙ্গে আদি বাড়ি। কর্মসূত্রে এখন রাজ্যের বাইরে। অথচ বাংলার সঙ্গে নাড়ির টান এখনও থেকে গিয়েছে। যার ফলে যে ছবিটি তৈরি করতে হাজারো ঝড়-ঝাপটা তাঁকে সামলাতে হয়েছে, তা শেষমেশ অতিক্রম করে এলেও খোদ নিজের রাজ্যেই যে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বেন তা ভাবতেও পারেননি সুদীপ্ত। তাই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রদের কাছে আবেদন করেছেন ছবিটি নিয়ে একটা নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে।
এশিয়ানেট নিউজ বাংলার এডিটর দেবজ্যোতি চক্রবর্তী-র সঙ্গে কথা বলার সময় সুদীপ্ত জানান, ছবিটি কেউ দেখলোই না অথচ ব্যান-এর সিদ্ধানত নিয়ে নেওয়া হল। তিনি আরও বলেন যে কেরল এই সিনেমার প্রেক্ষাপট, সেখানেও হইহই করে ছবিটি প্রদর্শিত হচ্ছে। সেই রাজ্যেও এই ছবির বিরুদ্ধে কেউ এখন কোনও কথাই বলছে না।
সুদীপ্ত সেন আরও অবাক হয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেন সেই তিনি দ্য কেরল স্টোরির প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করালেন। গোটা বিষয়টি তাঁর কাছে এক বিশাল আঘাতের বলে মনে করছেন সুদীপ্ত। তিনি আরও জানান যে, এই ছবিতে সন্ত্রাসবদ এবং তার জন্য তৈরি হওয়া পরিস্থিতি ও যারা এই সন্ত্রাসবাদের শিকার, তাঁদের কাহিনি এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে কোনওভাবেই কোনও বিশেষ ধর্ম বা জাতিকে নিশানা করা হয়নি। সুদীপ্ত সেনের মতে, দ্য কেরালা স্টোরিকে বাস্তাবায়িত করতে তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীদের ৭ বছর ধরে লাগাতার পরিশ্রম করতে হয়েছে। অবশেষে সেই ছবি এত ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এসে যখন প্রকাশ পেল তখন তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। টেলিফোনিক কথোপকথনে এমন প্রতিক্রিয়াও দেন সুদীপ্ত সেন।