The Kerala Story: শ্যুটিং-এর ভয়াবহ ছবি শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে, ভাইরাল আধা শর্মার পোস্ট
সেলেবদের জীবন সব সময় হয় রঙিন। দামি গাড়ি, বিলাসবহুল জীবন সব মিলিয়ে সব সময় সুখেই রয়েছেন তাঁরা। এমনব ধারণা সকলের মনে। কিন্তু সদ্য প্রকাশ্যে আসা আধা শর্মার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সব কিছুকে ভুল প্রমাণ করল।
ছবির পর্দায় আমরা প্রায়শই বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাই। বিদেশের পটভূমি হোক কিংবা দেশের কোনও সুন্দর স্থান- সেখানে নায়ক নায়িকা রোম্যান্স করে থাকেন। কিংবা সিনেমার পর্দায় কখনও কখনও দেখানো হয় বিলাসবহুল বাড়ি। এই সব দেখে অনেকেই মনে করেন শ্যুটিং করা বেশ সহজ কাজ।
কিন্তু, একেবারেই তা নয়। যে কোনও চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে কঠিন পরিশ্রম করতে হয় তারকাদের। এমন কথাই প্রমাণ করলেন আধা শর্মা। সদ্য ভাইরাল আধা শর্মার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। যাতে দেখা যাচেছে তাঁর ত্বকের ক্ষত। কনুই কাটা। হাঁটুতে রয়েছে আঘাত। তেমনই ঠোঁট ফাটা।
ছবির গল্প অনুসারে, আইএসআইএস ডেরায় পাচার করা হয়েছিল ফতিমাকে। সেখানে দীর্ঘ অত্যাচার সহ্য করতে হয় তাঁকে। সেই কষ্ট ফুটে উঠেছিল তাঁর চেহারায়। সেই দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা শুধু মেকআপের দ্বারা সম্ভব ছিল না। তার জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছিল আধাকে। সদ্য সে কথা জানান আধা শর্মা।
তিনি ইনস্টাগ্রামে সে কথা জানিয়ে লেখেন, দ্য কেরালা স্টোরি থেকে সানকিসড, আফটার অ্যান্ড বিফোর। ফাটা ঠোঁটের গোপন রহস্য.. মাইনা, ১৬ ডিগ্রিতেও ৪০ ঘন্টা নিজেকে ডিহাইড্রেটড রাখা। . PS গদিটি পড়ে যাওয়া অনুশীলন করার জন্য রাখা হয়েছিল।... তবে আমরা এটি ব্যবহার করিনি। ছড়ে যাওয়া কনুই যার প্রমাণ।
এরই সঙ্গে তিনি লেখেন, ...উফফফ সব কিছুই ভীষণ সার্থক। শেষ ছবিটা হল চুলে এক মুঠো নারকেল তেল, সেফটি পিন ও টাইট করে বাঁধা বেণীর।– এভাবে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আধা শর্মা। এই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়। তিনি ছবির দৃশ্য তুলে ধরার জন্য যে কঠিন পরিশ্রম করেছেন, তা সকলে প্রশংসা করেন।
৫ মে মুক্তি পেয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি। ছবির ট্রেলার লঞ্চ থেকে একের পর এক সমস্যায় ছবিটি। একাধিক আইনি মামলায় জড়িয়েছেন। দীর্ঘ বিতর্কের পর মুক্তি পায় ছবিটি। ওপেনিং ডে-তে ছবির আয় করেছে ৮.০৩ কোটি। করেন। ইতিমধ্যে ২০০ কোটির ঘরে পা রাখল দ্য কেরালা স্টোরি। পাঠান ছবির পর এই ছবির আয় গড়ল রেকর্ড। আপাতত বছরের সেরা আয় করা ছবির তালিকায় বাকি ছবি দের টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গেল দ্য কেরালা স্টোরি।
ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে শালিনির জীবন ঘিরে। সে ও তাঁর দুই বন্ধু কীভাবে ট্র্যাপে পড়ে তা ফুটে উঠেছে ছবিতে। ছবিতে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে ট্রেলার মুক্তি থেকে। একটি বিতর্কের অবসান হতে শুরু হচ্ছে অন্য বিতর্ক। এক বাধা সত্ত্বেও ছবির আয় গড়েছে রেকর্ড।
মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে নার্সিং পড়তে গিয়ে কীভাবে জঙ্গি সংগঠনের ট্রাপে পড়ে, কীভাবে দক্ষিণ ভারত থেকে সে সঙ্গি সংগঠনের সদস্য হয়ে ওঠে তা নিয়ে ছবিটি। এদিকে প্রথমে ছবিটি নিষিদ্ধ হলেও পরে পশ্চিমবঙ্গে ছবি দেখানোর নির্দেশ দেয়। বর্তমানে চলছে ছবির প্রদর্শন।
এদিকে এই ছবির সাফল্যের পর সিক্যুয়েল তৈরি হতে পারেবলে আন্দাজ করছেন সকলে। কারণে এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, ছবির সাফল্য আসবে সে বিষয় তিনি ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত ছিলেন। তাঁর ভাবনা বাস্তবায়িত হতেই নতুন পরিকল্পনা করেছেন পরিচালক। তিনি দ্য কেরালা স্টোরি ছবির সিক্যুয়েল তৈরির ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন।
তিনি বললেন, আমার কাছে এমন অনেক স্টোরি রয়েছে যা আমি দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। দ্য কেরালা স্টোরির সাফল্যের পর আমি তো আর হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। বিশ্রাম নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রায় সাত বছরের বেশি সময় ধরে আমি ছবি নিয়ে কাটাছেঁড়া করছি। এই ছবি হিট হবে সে বিষয় অনেকটাই আশাবাদী ছিলাম।