কখনও গাঢ় চুম্বন আবার কখনও বা অন্তরঙ্গ যৌনতায় ডুব দিয়ে রাতারাতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন বেশ কিছু তারকারা। রোম্যান্টিক দৃশ্যে এতটাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন যে ডিরেক্টর কাট বলার পরও তিনি ডিম্পলকে চুমু খেতে থাকেন।
রূপোলি পর্দার মতো তার জীবনটাও বাস্তবে একইরকম। সত্তরের দশকের পর্দাকাঁপানো অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়া নিজের ক্যারিশ্মাতে হাজারো আম আদমির রাতের ঘুম কেড়েছিলেন ডিম্পল। বলিউডের 'সেক্স সিম্বল' হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন লাস্যময়ী ডিম্পল।
জীবনের প্রথম ছবি 'ববি'-তে ঋষি কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ লিপলকের দৃশ্যে আসমুদ্র-হিমাচল নড়ে গিয়েছিল। বলিউডের চুম্বনের দৃশ্য নিয়ে আজও বির্তক অব্যাহত। কখনও গাঢ় চুম্বন আবার কখনও বা অন্তরঙ্গ যৌনতায় ডুব দিয়ে রাতারাতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়া।
একের পর এক বোল্ড সিনে রীতিমতো ঘাম ঝরিয়েছেন ডিম্পল কাপাডিয়া। তবে বিনোদ খান্নার সঙ্গে রোম্য়ান্টিক সিনে কাজ করতে গিয়ে মহাবিপদে পড়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে আজও চর্চা অব্যাহত।
ঘটনাটা ১৯৯২ সালের। মহেশ ভাট পরিচালিত মার্গ ছবির শুটিং করেছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়া। ছবিতেই একটি উষ্ণ দৃশ্যের শ্যুট করতে বলা হয় বিনোদকে। যেখানে বিনোদ ডিম্পলকে চুম্বন করবে এবং তারপর তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোবে।
চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে টেক দেন নায়ক ও নায়িকা। পরিচালক মহেশ চেয়েছিলেন ওই দৃশ্যের উষ্ণতার পারদ চড়াতে আরও বোল্ড হতে হবে এবং দ্বিতীয় টেকের প্রস্তাব দেন পরিচালক। যার ফলে ফের আরও একবার বোল্ড দৃশ্যে অভিনয় করতে হয় ডিম্পল ও বিনোদকে।
পরিচালক অ্যাকশন বললেই নির্দেশ মতোই চুমু খেতে আরম্ভ করেন ডিম্পল ও বিনোদ। ডিম্পলকে জড়িয়ে ধরতেই সম্বিত হারিয়ে ফেলেন বিনোদ। এমনকী পরিচালকের কাট বলার পর তিনি চুম্বনে মত্ত থাকেন। এমনকী ডিম্পলও চেঁচিয়ে ওঠেন।
ছবির পরিচালকও বিনোদের কীর্তি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সহকারীদের পাঠিয়ে অভিনেত্রীকে উদ্ধার করেন। তারপরেই সোজা নিজের ভ্যানিটি ভ্যানে চলে যান বলিউডের সেক্সবম্ব। তারপরই কেঁদে ফেলেছিলেন ডিম্পল।
ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, সেইদিন নাকি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়া । বিনোদকেও নির্দেশ দিয়েছিলেন ডিম্পলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য। সেইমতো অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন বিনোদ। পরে শোনা যায়, সেসময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।