বিনোদন জগতের পরিবর্তন নিয়ে আসছে সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্ট। ১৯৫২ সালে এই আইনটি তৈরি হয়েছিল। এবার পুরনো সেই আইনের পরিবর্তন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিনোদন জগতের পরিবর্তন নিয়ে আসছে সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্ট। ১৯৫২ সালে এই আইনটি তৈরি হয়েছিল। এবার পুরনো সেই আইনের পরিবর্তন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন আইনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া যেকোনও ছবিকে আটকে দিতে পারে। দৃশ্যসহ একাধিক পরিবর্তন করার কথা বলতে পারে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আসরে চলচ্চিত্র সংগঠনের একাধিক সংগঠন। CBFCর পর এবার প্রতিবাদ জানাল IMPPA । সংগঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা খুবই সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ এই পদক্ষেপে কেন্দ্রীয় সরকার, মন্ত্রী আর আমলাদের সরাসরি প্রভাব থাকবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের শঙ্করাপ্পার দেওয়ার রায়ের সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল সরকার কখনই চলচ্চিত্রের শাংসাপত্র দিতে পারে না।ফিল্ম নিয়ে পর্যালোচনা করার কোনও ক্ষমতাও নেই সরকারের। কিন্তু নতুন আইনে অনেকটা সেই কথাই বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একাধিক সংগঠন এই মর্মে আবেদন জানিয়েছে। সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে আসা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার মুদগাল রিপোর্ট আর বেনেগাল রিপোর্টের মত পূর্ববর্তী কমিটির সুপারিশগুলিকে বিবেচনা করবে। আর আইসিএটি পুনর্বহাল রাখবে। সিমেমাটোগ্রাফ আইনে নতুন সংশোধনী নিয়েও বিবেচনা করবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ শিল্পীদের সৃজনশীলতায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারে সঙ্গে তাঁদের যাতে কোমনও রকম সংঘাতে যেতে না হয় তারও আবেদন জানিয়েছে সংগঠনগুলি।
চলচ্চিত্র নির্মাতা বা শিল্পিদের সংগঠনের পক্ষ থেকে শাংসাপত্রের নতুন শ্রেণিবিন্যাসের বিভাগ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিভাগের আদীনে চলচ্চিত্রগুলি সংশাপত্র দেওয়ার সময় গৃহীত হবে এমন স্পষ্ট নির্দেশিকা চাইবে তারা।
কেন্দ্রের এই সিনেমাটোগ্রাফ আইনে বদল আনার পদক্ষেপ নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বলিউডের অনুরাগ কাশ্যপ, ফারহান আখতার, শাবানা আজমি, জোয়া আখতর, দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত বিশিষ্টতার। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন টলিউডের শিল্পীরাও। অরিন্দম শীল বিরশাদাশগুপ্তরাও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।