বি টাউনে চলছিল কানাঘুষো। বহুদিন ধরেই জল্পনার জল মাপছিলেন সবাই। অবশেষে জল্পনায় সিলমোহর দিলেন নিজেই। কৃতী খারবান্দা জানিয়ে দিলেন, পাগলপন্তি-র সহ অভিনেতাকেই মন দিয়েছেন তিনি। পুলকিত সম্রাটকে ডেটিং করছেন 'পঞ্জাব দি কুরি'।
কথা ছিল সবার আগে বাবা-মাকে জানাবেন। কিন্তু সর্বভারতীয় চ্যানেলের বারংবার প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুলতে হল অবশেষে। পাগলপন্তি-র নায়িকা জানিয়ে দিলেন শুধু রিল লাইফে নয়, রিয়েল লাইফেও তাঁর হিরো পুলকিত সম্রাট। কৃতী জানান, এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় লাগে সবার। অনেক সময় মেয়েদের এই সিদ্ধান্ত নিতে পাঁচ বছর কেটে যায়। কিন্তু পাঁচ মাসেই তাঁর মনে জিতেছেন পুলকিত। সেকারণে তাঁর সঙ্গে নিজের নাম জুড়তে আর সমস্যা নেই কৃতীর।
তবে আগে বহুবার প্রশ্ন করা হলেও পুলকিত নিয়ে মুখ খোলেননি বি-টাউনের হটি। তাঁর আর পুলকিতের প্রেমের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃতী বলতেন, দুজনকেই একসঙ্গে হট ও কিউট লাগে। পুলকিত তাঁর জীবনে একটা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। তাই সবাই তাঁদেরকে দেখে প্রেমিক-প্রেমিকাই ভাবে।
কিন্তু এতজন থাকতে হঠাৎ পুলকিতই কেন? প্রশ্নটা শুনেই কৃতী বলেন, 'আমাদের দুজনের মধ্য়ে সম্পর্কটা একটা বন্ধনে পরিণত হয়েছে। পুলকিত কিছু বলার আগেই আমি বুঝতে পারি ও কি বলতে চাইছে। আমার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। আমার মুখ দেখে ও বুঝে নেয় আমি কী ভাবছি। সহ অভিনেতা হিসাবে দেখেছি, সবাইকে কীভাবে সম্মান করে। ওর এই স্বভাবটাই আমার মন ছুঁয়ে যায়। ও ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছে, যে ও বলিউডে থাকতে এসেছে।'
'পাগলপন্তি'-র আগে 'বীরে দি ওয়েডিং'-এ একসঙ্গে কাজ করেছেন কৃতী-পুলকিত। বলিউডে কান পাতলে শোনা যায়, আগেও সম্পর্কে জড়িয়েছেন পুলকিত সম্রাট। ২০১৪ সালে শ্বেতা রোহিরাকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু বছর গড়াতেই বিয়ে ভেঙে যায়। বি টাউনে সালমান খানের হতা দরেই নাকি হাতে খড়ি পুলকিতের। সলমানের কথা মেনেই শরীরচর্চা। সেখান থেকে ফুকরে-তে সুযোগ। সেখান থেকেই পুলকিতের বলিউডে উত্তরণ শুরু।
এরপর একে একে একক হিরো হিসাবে সিনেমায় সুযোগ পান তিনি। উর্বশী রউটেলার সঙ্গে তাঁর মিউজিক্যাল থ্রিলার বক্স অফিসে না চললেও সোলো হিরো হিসাবে নাম পান পুলকিত। পাগলপন্তি-তে পুলকিত ছাড়াও অনিল কাপুর, জন আব্রাহম রয়েছেন সিনেমায়। আনিজ বাজমির এই ছবি নিয়ে ফের আশাবাদী বক্স অফিস।