সৃজিত জানিয়েছেন কেকে-র শেষ রেকর্ড করা গানটি তাঁর কাছে রীতিমত স্পেশাল। তিনি গানের রেকর্ডিংএর একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এই ছবিতে গুলজারের সঙ্গে কাজ করেছেন কেকে।
কলকাতায় লাইভ কনসার্টের পর আচমকাই মৃত্যু হয় বলিউড সিঙ্গার কেকে-র। বলা যেতেই পারে কলকাতাতেই মৃত্যু কেকে-র। আর সেই কলকাতার বা বাংলার চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবির জন্যই শেষ গানটি রেকর্ড করেছিলেন কেকে। চলতি বছর এপ্রিলে হিন্দি ছবি শেরদিল: দ্যা পিলিভিট সাগা-র গানের রেকর্ডিংএর একটি ছবিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শেয়ার করেছিলেন কেকে। একই ফ্রেমে ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়, গুলজার, শান্তনু মৈত্র আর কেকে। আজ আর কেকে নেই।
সৃজিতের আপকামিং ছবি শেরদিল: দ্যা পিলিভিট সাগা। যে গানটি কেকে রেকর্ড করেছিলেন সেটি এখনও পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলার সময় সৃজিত কেকে-র সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকারের কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন কেকে-র মৃত্যু তাঁর কাছে অবিশ্বাস্য।
সৃজিত জানিয়েছেন কেকে-র শেষ রেকর্ড করা গানটি তাঁর কাছে রীতিমত স্পেশাল। তিনি গানের রেকর্ডিংএর একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এই ছবিতে গুলজারের সঙ্গে কাজ করেছেন কেকে। ১৯৯৬ সালে ম্যাচিস ছবিতে তাঁরা প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেছেন। সেইথেকেই গুলজারের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন কেকে। তবে সৃজিতের সঙ্গে এই প্রথম কাজ করছিলেন কেকে। সৃজিত জানিয়েছেন গানটি লিখেছেন গুলজার সাহেব, সুর দিয়েছেন শান্তনু মৈত্র আর গান গেয়েছেন কেকে। তাই এটি তাঁর কাছে বিশেষ একটি গান।
সৃজিত আরও জানিয়েছেন তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই কেকের গানের একজন অনুরাগী ছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে দারুন লেগেছিল তাঁর। সেই সময় সৃজিত কেকে-কে বলেছিলেন তাঁর গান অনেক কঠিন সময় সহজে পার হতে সাহায্য করেছিল। মানুষ হিসেবে কেকে- দারুন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কেকে অত্যান্ত বিনয়ী, মাটির মানুষ ছিলেন।
সৃজিত জানিয়েছেন কেকে-র রেকর্ড করা গানটি দ্রুত মুক্তি পাবে। তিনি আরও বলেছেন এই গানে নিজের একশো শতাংশ ঢেলে দিয়েছিলেন তিনি। গুলজার ও শান্তনু মৈত্র দারুন কাজ করেছেন। প্রত্য়েকেরই সমান কন্ট্রিবিউশন ছিল। গানটি যাতে তাড়াতাড়ি মুক্তি পায় তার জন্য চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেম সৃজিত।