হিন্দু পাত্রকে বিয়ে করে এবং মাথায় সিঁদুর পড়ে মুসলিম কট্টরপন্থীদের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন নুসরত জাহান। দেওবন্দের সুন্নি সংগঠন দার-উল-উলুম এর ইমাম মুফতি আসাদ ওয়াসমি নুসরতের বিরুদ্ধে রীতিমতো ফতোয়া জারি করেছেন। তবে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি, বিরোধী দলের সদস্যদেরও পাশে পাচ্ছেন নুসরত জাহান। এবার হুগলি থেকে নির্বাচিত সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তাঁর সমর্থনে কথা বললেন।
সংসদে একমাথা সিঁদুর, হাতে চূড়া নিয়ে নিজেকে নুসরত জাহান রুহি জৈন বলে পরিচয় দেন সাংসদ। তার কিছুদিনের মধ্য়ে নুসরতের সমালোচনা করে ইমাম বলেন, ইসলামে একজন মুসলিমের শুধু একজন মুসলিমকেই বিয়ে করার অধিকার আছে। এমনকী ইমাম এও বলেছেন, নুসরত একজন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীরা ধর্ম মানেন না। যা ইচ্ছা তা করেন।
তবে বাদ যাননি হিন্দু কট্টরপন্থীরাও। সাধ্বী প্রাচী বলছেন, মুসলিম মহিলারা সিঁদুর মঙ্গলসূত্র পরলে তাকে হারাম বলছেন ইমামরা। কিন্তু লাভ জিহাদের নামে হিন্দু মেয়েকে আটকে রেখে বোরখা পরানোকে হারাম মনে হয় না তাঁদের!
এই প্রসঙ্গে নিজেও একটি টুইট করেন নুসরত। তিনি বলেন, ভারত সকলকে নিয়ে। জাত ধর্ম ভেদাভেদের উর্ধ্বে যে ভারত, আমি সেই ভারতের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি সমস্ত ধর্মকে সম্মান করি। আমি এখনও মুসলিমই আছি। আর আমি কী পরব সে ব্যাপারে অন্য কারও মন্তব্য করাই উচিত নয়। বিশ্বাস পোশাকের উপরে। বিশ্বাস মানে সমস্ত ধর্মেরই সুশিক্ষাগুলিকে গ্রহণ করে তা পালন করা।
নুসরত এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে বলেন, বিয়ে হয়েছে বলে নয়। বিয়ের আগে থেকেই তিনি অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করেন। তখনও পুজো মণ্ডপে যেতেন।
নুসরত জাহানের পাশে দাঁড়িয়ে লকেট বলেছেন, সিঁদুর পরবেন নাকি শাঁখা পরবেন, শপথ গ্রহণে কী পোশাক পরবেন সেটাও কি জিজ্ঞাসা করে পরতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নুসরতের পাশে দাঁড়ানো উচিত। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ঠিক না।