ধনপতি-খুল্লনার প্রেম এবং মা চণ্ডীর মহিমা দেখাতে ছোটপর্দায় আসছে মঙ্গলচণ্ডী

  • ছোটপর্দায় আসছেন দেবী চণ্ডী 
  • মঙ্গলচণ্ডীর বণিক খণ্ড থেকে অনুপ্রাণিত দেবী চণ্ডী এবং ধনপতি সওদাগর-খুল্লনার গল্প
  • এতদিন আমরা দেখে এসেছি কালকেতু ব্যাধ-ফুল্লরার গল্প 
  • ধনপতি সওদাগরের গল্প এই প্রথম ছোটপর্দায়

debojyoti AN | Published : Aug 5, 2019 11:30 AM IST / Updated: Aug 08 2019, 11:11 AM IST

ছোটবেলা থেকে আমরা শুনে এসেছি দেবী চণ্ডীর মহিমার কথা। মঙ্গলচণ্ডীর বণিকখণ্ড থেকে অনুপ্রাণিত দেবী- চণ্ডী এবং ধনপতি সওদাগর-খুল্লনার গল্প আজ পর্যন্ত কেউ ছোটপর্দায় তুলে ধরেছেন বলে জানা নেই। এবার সেই পৌরাণিক কাব্য-কে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ছোটপর্দায় আসছে 'মঙ্গলচন্ডী'। ৫ই অগাস্ট থেকে প্রতি সোম থেকে শনি সন্ধে ছ-টায় দেখা যাবে এই মেগা সিরিয়াল। বাংলা লোকগাথা-তে মনসামঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল সবকটিই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই সময় স্বর্গে দেবীর মহিমা ম্লান হয়ে আসছিল।  সুতরাং মর্তে দেবতাদের পাশাপাশি দেবীর মহিমা তুলে ধরতে দেবী চণ্ডীও সাহায্য নিয়েছিলেন তাঁর শাক্ত ভক্তদের। চণ্ডীমঙ্গলের গল্পে দেখা যায় দেবী চণ্ডী তাঁর পূজা মর্তে প্রচার করার জন্য সাহায্য নিয়েছিলেন খুল্লনা-বণিক সওদাগরের। যারা পূর্ব জন্মে পরিচিত ছিলেন নর্তকী রত্নমালা ও বাদক কর্ণমুনি। পরে দেবীর প্রচারের জন্য তাঁরা মর্তে আসেন খুল্লনা-ধনপতি হিসেবে। দেবীর লক্ষ্য ছিল বিত্তবান ধনপতির হাতে পূজো পাওয়া। কিন্ত ধনপতি ছিলেন ঘোর শাক্ত, অন্যদিকে খুল্লনা ছিলেন দেবী চণ্ডীর পূজারী। চণ্ডীর কৃপায় প্রথমে খুল্লনার প্রেমে পড়েন বিবাহিত ধনপতি সওদাগর। প্রথম স্ত্রী-র নাম লহনা। পরে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন খুল্লনার সাথে। অন্যদিকে শাক্ত হওয়ায় বিয়ের পরও মঙ্গলচণ্ডীর পুজো করতে রাজি হন না ধনপতি। অনেক পরীক্ষা পেরিয়ে রাজি করান ধনপতিকে। ধনপতির অঞ্জলিতে দেবীর স্বীকৃতি পান মা চণ্ডী। ধনপতি-খুল্লনার প্রেমের গল্পের পাশাপাশি রয়েছে এক বণিকের সমুদ্রযাত্রার কাহিনি।   

বাংলা ছোট পর্দায় এই প্রথম এই প্রথম এত বড় ভাবে উন্নত গ্রাফিক্স এর হাত ধরে আসতে চলেছে এই মেগা। মূলত ক্রোমা পর্দায় শ্যুট হয়েছে বেশিরভাগ দৃশ্যই। কিছু কিছু অংশ শ্যুট করা হয়েছে আউটডোরে। সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ পরিচালক থেকে গবেষক এবং চিত্রনাট্যকার। গবেষক শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান হলিউডের পাইরেটস অফ ক্যারিবিয়ান, টাইটানিক যারা দেখেছেন তাঁরা এবার বাংলাতেও দেখতে পাবেন সেই রোমাঞ্চকর সমুদ্রযাত্রা। যেহেতু ধনপতি সমুদ্রযাত্রার মধ্য দিয়ে তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন তাই জল-কেন্দ্রিক ব্যপার অনেকটাই উঠে এসেছে এই মেগাতে। মূল চরিত্রে রয়েছেন মধুজা মা চণ্ডীর ভূমিকায়, অদ্রিজা রায় খুল্লনার ভূমিকায়, শমীক রয়েছেন ধনপতির ভূমিকায়, লহনার চরিত্রে শ্রেয়সী। সঙ্গীতে রয়েছেন দেবজিত রায়। চরিত্র প্রসঙ্গে শমীক বলেন তাঁরা প্রায় ৬ মাস ধরে  ওয়ার্ক-শপ করেছেন। চণ্ডীর চরিত্রের মধুজা জানান ছোটবেলা থেকেই শুনে আসা এই চণ্ডীর চরিত্র করতে তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে ছোটবেলা বাংলা সাহিত্যে পড়ে আসা এই চন্ডীর চরিত্র। খুল্লনার ভূমিকায় থাকা অদ্রিজা বলেন 'পৌরাণিক চরিত্র মানে ছোটবেলা থেকে দেখে আসা চরিত্র, যাতে আমরা নতুন ভাবে কোনও কিছু সংযোজন করতে পারব না। ইংরেজি কথার উচ্চারণ করতে পারব না।'
সব মিলিয়ে আশা করা যায় ছোটপর্দায় এই মেগার সাফল্য সুদূরপ্রসারী হবে।  

Share this article
click me!