সম্প্রতি সুস্মিতা সেনের একটি ভিডিও ইন্টারভিউ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে প্রিয়ঙ্কা আমাদের সকলকে এবং ভারতকে গর্বিত করেছে। বুঝতেই পারছেন খোদ প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স যখন প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করছেন তখন বুঝতেই হবে যে পিগি চপসের আবেদন সাধারণ জনমানসে কতটা!
নিজেকে স্টাইল স্টেটমেন্টে বারবার তুলে ধরতে পছন্দ করেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। আসলে তাঁর মতো স্টাররা তো ইনবর্ন। মানে জন্মগত তারকা। যাঁদের মজ্জায় মজ্জায় রয়েছে স্টারডমে ভেসে থাকার কৌশল। জেনিফার লোপেজ স্টারডম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একবার বলেছিলেন যে- 'আই হ্যাভ দ্য স্টারডম গ্লো', যার গোদা বাংলা করলে দাঁড়ায় 'আমার মধ্যে স্টারডমের ছটা বিরাজ করে'। সাম্প্রতিক ভারতীয় গ্ল্যাম দুনিয়া থেকে ফিল্মি এলাকায় প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার এই গ্ল্যাম গ্লো তাঁকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি যে এনে দিয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এহেন প্রিয়ঙ্কা সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়াতেও বহাল তবিয়তে জনপ্রিয়তা ঢাক নিয়ে ভক্তদের সংখ্যা বাড়িয়ে যাচ্ছেন। আর তাঁর নেটস্যাভি ভক্তদের পোস্ট করলেন কিছু ছবি। যা তিনি সিটাডেল ছবির সেট থেকে পোস্ট করেছেন।
যে ছবির ক্যাপশনে আবার লেখা স্ন্যাক। এই শব্দবন্ধের সঙ্গে চট করে কেউ আবার খাবার-দাবারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। কারণ পিগি চপস এখানে স্ন্যাক বলতে বোঝাতে চেয়েছেন যে তিনি নিজে অবসর সময় কাটাচ্ছেন এবং নিজের সৌন্দর্যকে হালকাভাবে মেলে ধরছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে পিগি চপস ছেড়ে দেওয়া চুল একদিকে চোখের উপর দিয়ে মুখের একটা অংশকে আবৃত করে রেখেছে। সাদা শার্টের চেস্ট বাটন খোলায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ডিপ ক্লিভেজ। আসলে এমন আনমনা সৌন্দর্য স্বাভাবিকভাবেই প্রিয়ঙ্কা ভক্তদের মুগ্ধ করতে যথেষ্ট। অনেক তারকাকেই নানা সময়ে বলতে শোনা গিয়েছে, সৌন্দর্যর মানে যে সবসময় সেজেগুজে বা চড়া মেকআপ-এর আড়ম্বের অন্যের প্রশংসা প্রাপ্তি তা নয়। নিজেকে এলোমেলো করেও সকলের সামনে নিজের সৌন্দর্যের বিকাশ ঘটানো যায়।
সন্দেহ নেই প্রিয়ঙ্কা চোপড়া বেশ একটা ক্যাজুয়াল মোডে এই ছবিগুলি পোস্ট করেছেন। হালকা মেকআপ আরও বেশি করে পরিস্ফূট করেছে তাঁদের ফেসিয়াল বিউটি-কে। আর হালকা করে উদ্ভাসিত ডিপ ক্লিভেজ তো এক গহন রহস্যেরই ইঙ্গিত বহন করছে।
হলিউডে পা রাখার পর থেকে প্রিয়ঙ্কার ফ্যাশন স্টেটমেন্টে আরও বেশি করে সাহসিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ওয়েস্টার্ন আউটফিটে তিনি বারবার বুঝিয়েছেন যে তাঁকে যতই ডাক্সি ইন্ডিয়ান বিউটির তকমা দেওয়া হোক, গ্ল্যামস্যামে এই বিষয়গুলি ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। আসলে গ্ল্যামার তো সৌন্দর্য থেকে নিজের পার্সোনালিটির উজ্জ্বল উপস্থিতির মিলনে কতটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে সেটাই বোঝায়। তাই ইন্ডিয়ান ডাক্সি বলে প্রিয়ঙ্কাকে যারা একটু নিচু দেখানোর চেষ্টা করেন তাঁদের কাছেও এটা বার্তা।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এমনই। সবসময় নিজের লিমিটেশনকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া এক মহিলা। যিনি মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে স্টারডমের লক্ষ্যে এমন অসম লড়াই লড়েছিলেন যার রাস্তাটা অতটা সহজ ছিল না। নিজেকে যেমন বিশ্বসেরা সুন্দরীর তকমায় ভূসিত করতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছেন তেমনি সেই গ্ল্যাম দুনিয়ায় নিজের অস্তিত্ব বহাল তবিয়েতে টিকিয়ে রাখতেও যেভাবে নিজেকে ঘষে-মেজে তৈরি করেছেন তা সত্যিকারে প্রশংসার দাবি রাখে। কারণ বুঝতে হবে প্রিয়ঙ্কা চোপরাই প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনেত্রীদের অবিলাক্রমে শরীর দেখানোর ছুৎমার্গকে এক ধাক্কায় আটলান্টিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। বলতে গেলে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া যে গ্ল্যাম ওয়ার্ল্ডের একটা কমপ্লিট প্যাকেজ- যেখানে অভিনয় থেকে গান এবং ফ্যাশল স্টাইলে একটা আদর্শ হিসাবে তুলে ধরাতে সফল তিনি। সেই কারণে, এমনভাবে হালকা মেকআপে ডিপ ক্লিভেজেও ক্লোজ ফ্রেমেও পুরুষদের মনে দোলা লাগানোর ক্ষমতা রাখেন পিগি চিপস। কারণ, ওই যে উক্তিটা যে 'আই হ্যাভ স্টার ডম গ্লো'।
আরও পড়ুন- নিক জোনাসের পছন্দের বলিউড ডান্স মুভ দেখে কি প্রতিক্রিয়া জানালেন স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
আরও পড়ুন- একরত্তিকে বুকের মধ্যে আগলে প্রিয়ঙ্কা, মেয়ের ছবি প্রথমবার প্রকাশ্যে আনলেন নিক ঘরনি
আরও পড়ুন- নিক জোন্সের আগে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ককে, জানুন সেই কাহিনি