'প্রতিদিন তোমার করা ফোন মিস করব', ঋদ্ধিমাকে দেওয়া কথা না রেখেই চলে গেলেন ঋষি

  • দুই সন্তানের মধ্যে ঋদ্ধিমাই বেশি কাছের ছিলেন ঋষির
  • রণবীরের স্বভাবের অনেক কিছুই না পসন্দ ছিল অভিনেতার
  • তবে মেয়ের প্রতি অভিনেতার ভালবাসা ছিল একেবারে নিখাদ
  • প্রতিদিন মেয়ে ও নাতনির সঙ্গে নিয়ম করে চলত ফোনে কথোপকথন

Asianet News Bangla | Published : Apr 30, 2020 12:12 PM IST

ঋষি কাপুরের দুই সন্তানের মধ্যে ঋদ্ধিমা কাপুর ছিলেন বড়। রণবীর কাপুরের অনেক স্বভাবই না পসন্দ ছিল ঋষির। বিশেষ করে রণবীরের খামখেয়ালি পনা। তবে মেয়ে ঋদ্ধিমা বরাবরই খুব প্রিয় ছিলেন ঋষির। দিল্লির ব্যবসায়ী পরিবারে বিয়ে হয়েছিল ঋদ্ধিমার। বিয়ের পর নিজেও জুয়েলারি ডিজাইন শুরু করেন। তবে এর মাঝেই মা-বাবার সাথে দেখা করতে নিয়মিত মুম্বইতে আসতেন তিনি। কিন্তু এবারে লকডাউনের কারণে দিল্লিতেই আটকে পড়েছিলেন ঋষিকন্যা। মা-বাবার সঙ্গে দেখা না হলেও নিয়মিত ফোনে কথা হত। বুধবারও নিয়ম মেনে ঋষির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন ঋদ্ধিমা। সূত্রের খবর, তখনি নাকে মেয়েকে ঋষি বলেছিলেন, শরীরটা ঠিক ভাল লাগছে না। তবে এর মাঝেও নাতনির সঙ্গে ফোনে খুনসুটি করতে ভোলেননি অভিনেতা। নাতনি সামারা বরাবরই খুব কাছের ঋষির।

 

 

বুধবার ফোনে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানানোর পাশাপাশি বলেছিলেন ফের ফোনে কথা হবে বৃহস্পতিবার। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলে গেল সব পরস্থিতি। মেয়ের কাছে এল না বাবার আর প্রতিক্ষিত ফোন। বরং বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে লকডাউনের মধ্যেই প্রশাসনের থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ঋদ্ধিমা রওনা দিলেন মুম্বইয়ের পথে। সঙ্গী হলেন ঋষির প্রিয় নাতনি সামারা ও জামাই। 

আরও পড়ুন: লকডাউনের মাঝেই বাবার মৃত্যুর খবর, ১৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে গাড়ি চালিয়ে আসছেন ঋদ্ধিমা

ঋষির মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই আর চোখের জল বাঁধ মানেনি ঋদ্ধিমার। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মর্মস্পর্শী পোস্ট দিলেন ঋদ্ধিমা। যার ছত্রে ছত্রে ধরা রয়েছে বাবার প্রতি তাঁর বিপুল ভালবাসা।

আরও পড়ুন: মন ছুঁয়ে গিয়েছিলেন 'কাপুর অ্যান্ড সনসে'-র দাদু, কামব্যাকে বেশি সপ্রতিভ ছিলেন ঋষি

ইনস্টাগ্রামে বাবার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে ঋদ্ধিমা লেখেন, ‘‘পাপা, আই লাভ ইউ। আমি তোমাকে চিরকাল ভালবাসব। আরআইপি আমার শক্তিশালী যোদ্ধা।'' ঋদ্ধিমা আরও লিখেছেন, ‘‘আমি তোমাকে প্রত্যেকটা দিন মিস করব। আমি তোমার কলগুলি মিস করব, যতদিন না আবার দেখা হচ্ছে, আই লাভ ইউ।''

 

বাবার হাসপাতালে ভর্তির খবর শুনেই মুম্বইতে আসার তোরজোড় শুরু করে দেন ঋদ্ধিমা। রাতেই তিনি প্রশাসনের কাছে বিশেষ অনুমতি চান। দিল্লি পুলিশ অনুমতি দিতেই সকালেই সড়ক পথে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। 

Share this article
click me!