'রাজেশ খান্না: এক তানহা সিতারা' নামে একটি ওডিও বুক প্রকাশিত হয়েছে তাঁর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে। সেখানেই শর্মিলা ঠাকুর জুটি ভাঙার কারণ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'কাকার একটা জিনিস আমাকে খুব সমস্যায় ফেলেছিল।
রাজেশ খান্না- বলিউডের প্রথম সুপারস্টার। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ - মাত্র তিন বছরে ১৫টি সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন। তাঁর অন্যতম নায়িকা ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। এই জুটি একের পর এক রোমান্টিক ছবি উপহার দিয়েছিল। দর্শকও পছন্দ করেছিল এই জুটিকে। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন হয়। ভেঙে যায় শর্মিলা ঠাকুর আর রাজেশ খান্নার জুটি। কিন্তু কেন জানেন কি?
আরাধনা (১৯৬৯), সফর (১৯৭০), অমর প্রেম (১৯৭২), আবিষ্কার (১৯৭৪), এবং দাগ: এ পোয়েম অফ লাভ (১৯৭৩), ত্যাগ (১৯৭৭), এবং রাজা রানী (১৯৭৩) এর মতো সুপারহিট ছবিতে দুজনে চুটিয়ে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু তারপরই তাঁদের জুটি ভেঙে যায়। কী কারণে জুটি ভেঙে ছিল তা প্রকাশ্যে এত দিন পরে।
'রাজেশ খান্না: এক তানহা সিতারা' নামে একটি ওডিও বুক প্রকাশিত হয়েছে তাঁর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে। সেখানেই শর্মিলা ঠাকুর জুটি ভাঙার কারণ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'কাকার একটা জিনিস আমাকে খুব সমস্যায় ফেলেছিল। তা হল তিনি সর্বদা শ্যুটিং এ আসতেন দেরিতে। ৯টার শিফট থাকলে রাজেশ খান্না কখনই দুপুর ১২টার আগে ফ্লোরে আসতেন না।' এই একটি মাত্র কারণেই শর্মিলা রাজেশ খান্নার পরিবর্তে অন্যান্য অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শর্মিলা আরও বলেছেন, তিনি জানতেন রাজেশ খান্না আর তাঁর জুটি দর্শকরা পছন্দ করেন। কিন্তু তারপরেও রাজেশ খান্নার এই একটি কারণে তিনি অন্য নায়কদের বেছে নিয়েছিলেন।
যাইহোক শর্মিলা আরও জানিয়েছেন রাজেশ খান্না সত্যি একজন উদার মনের মানুষ ছিলেন। তিনি প্রচুর মানুষকে উপহার দিতেন। দামি দামি উপহার দিতে পিছপা হতেন না। তিনি অনেককে বাড়িও কিনে দিতেন। কিন্তু পাল্টা তিনি অনেকের কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশাও করতেন। যা তাঁর জীবনে সমস্যা বাড়িয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন অভিনয় না করলেও রাজেশ খান্না তাঁর একজন ভাল বন্ধু ছিলেন। ২০১১ সালে অন্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ে রাজেশ খান্নার। ২০১২ সালে তিনি মারা জান। পরের বছর তাঁকে মরণোত্তর পদ্মভূষণ সম্মা দেওয়া হয়।