দেশ জিততেই তাঁদের পায় কে! সৌরভ তো চেঁচাতে চেঁচাতে এক পাক নেচেই নিলেন! সব্যসাচীর হাতে তখন পানীয় ভর্তি ট্রে। বেচারা তাই নাচতে পারেননি!
ভারত ম্যাচ জিতবে আর তারপর খানাপিনা হবে না, হয়? বাঙালির মনের কথা খুব চটপট পড়তে পারেন সৌরভ দাস। তাঁর নতুন সঙ্গী সব্যসাচী চৌধুরীও। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। ২৩ অক্টোবর, রবিবারের গোটা দিন তাঁরা উৎসর্গ করে দিলেন দেশের সমর্থকদের জন্য! গরম চায়ে চুমুক দিয়ে যাতে নিজেরাও গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে দেশের খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে পারেন (পড়ুন টিভির পর্দায়) তার জন্য বিশেষ চায়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন দুই তারকা। চায়ে না হয় গলা ভিজবে। কিন্তু পেট ভরবে কি? এ ব্যাপারেও দুই অভিনেতা উদারহস্ত। চায়ের পাশাপাশি টায়ের ব্যবস্থাও করেছিলেন চটপটা মুখরোচক খাবারে। সঙ্গে উপরি পাওনা বড় স্ক্রিনে খেলার উত্তেজনা।
শুধু আয়োজন করেই ক্ষান্ত হননি। নিজের হাতে সমস্ত খাবারদাবার পরিবেশনও করেছেন। দেশ জিততেই তাঁদের পায় কে! সৌরভ তো চেঁচাতে চেঁচাতে এক পাক নেচেই নিলেন! সব্যসাচীর হাতে তখন পানীয় ভর্তি ট্রে। বেচারা তাই নাচতে পারেননি! তবে তাঁর চওড়া হাসিই জানান দিচ্ছিল, তাঁদের আয়োজন সার্থক। সৌরভের হইচই বড়ই ছোঁয়াচে। দেখতে দেখতে তাঁকে ঘিরে তখন বাকিদের উন্মাদনা। সেটাও ছিল দেখার মতোই।
নিশ্চয়ই কৈতূহল হচ্ছে, কোথায় হল এত কিছু? পুরোটাই হয়েছে সৌরভ-সব্যসাচীর নতুন ক্যাফে ‘হোঁদল’-এ। পাবজি খেলতে খেলতে তাঁদের বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্ব বদলে গিয়েছে অংশীদারী ব্যবসায়। ‘হোঁদল’-এর যমজ জন্মদাতা তাঁরাই! ভারত-পাক টি-২০ ম্যাচে দেশের সম্মানে এ দিন সৌরভ-সব্যসাচী ক্যাফেতে খানাপিনার উপরে বিশেষ ছাড় দিয়েছিলেন। কী কী ছিল এই তালিকায়? এ দিন রোজি অ্যাফেয়ার বা জিঞ্জার অ্যালে অর্ডার দিলে প্রতিটির সঙ্গে সেই পানীয় আরও একটি বিনামূল্যে। যাঁরা চা-খোর তাঁদের জন্য ব্যবস্থা ব্লু টি, প্রিমিয়াম দার্জিলিং হোয়াইট টি। এখানেও ঠান্ডা পানীয়ের মতোই বিশেষ ব্যবস্থা। বাকি রইল খাবার। ফিশ ফিঙ্গার, গার্লিক ব্রেড, চিজ বলের কম্বো প্যাক এই দিনের জন্য পাওয়া গিয়েছে যথেষ্ট কম দামে। বাড়তি আকর্ষণ সৌরভ-সব্যসাচীর নিজের হাতে খানা পরিবেশন!
সৌরভ-সব্যসাচীর মতো করেই এ দিন শহরের তারকারা খেলায় মেতে উঠেছিলেন নিজেদের মতো করে। ভারত-পাক ম্যাচ মানেই যেন অলিখিত যুদ্ধ। টানটান উত্তেজনা। ২৩ অক্টোবরেও সেই তাপ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল। বিশিষ্ট সঞ্চালক-অভিনেতা মীর আসফার আলি এ দিন সেই উত্তেজনা ভাগ করে নিয়েছেন খাবার সরবরাহকারীর সঙ্গে। তিনি মীরের বাড়িতে খাবার দিতে এসেছিলেন। সঞ্চালক তাঁকে আপ্যায়ন করে ঘরে বসান। তাঁর সঙ্গে বসে দেশের জয় উপভোগ করেন। খেলার ফাঁকেই যাবতীয় খোঁজখবর নিয়েছেন আমন্ত্রিতেরও। একই ভাবে টেনশনে টানটান পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও। খেলার পরে নিজের হাতের আঙুলের ছবি দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘খেলার আগে প্রতিটি আঙুলের নখ বড় ছিল। খেলা শেষের পরে দেখলাম সব ক’টা ছোট হয়ে গিয়েছে!’ অর্থাৎ, উত্তেজনায় আঙুলের নখ তিনি দাঁত দিয়ে কেটেছেন।