বলিউডের প্রথম সারির এক অভিনেত্রীকে অপহরণ করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার দায় সম্প্রতি আটক করা হয়েছিল আদিত্য পাঞ্চোলিকে। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের স্থানীয় আদালতের বিচারপতি এইচ বি গাইকওয়াড় এই মামলায় ১৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
এই মামলায় দুই পক্ষ থেকেই বিভিন্ন রকমের যুক্তি উঠে আসছে বলে জানা যাচ্ছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে। আদিত্যর আইনজীবী প্রশান্ত পাটিল জানিয়েছেন, ১৫ বছর পরে ধর্ষণের মামলার কোনও ভিত্তি নেই।
এমনকী এও জানা গিয়েছে, আদিত্য পাঞ্চোলি ওই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সেই অভিনেত্রীর আইনজীবী ফোন করে আদিত্যকে বলেছিলেন, ওই মামলা তুলে না নিলে ধর্ষণের মামলা করা হবে। ওই ফোন কলটিও রেকর্ড করে রেখেছিলেন আদিত্য।
এরই মধ্যে ওই অভিনেত্রী এক সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, কতটা নির্মম ভাবে দিনের পরে দিন আদিত্য তাঁকে অত্যাচার করেছেন, ধর্ষণ করেছেন। অভিনেত্রী জানান, সেই সময়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তখনই তাঁকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করতেন আদিত্য। ২০০৪-২০০৬ সাল নাগাদ এক উচ্চপদস্ত আইপিএস অফিসারকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি তখন।
ধর্ষণের দায়ে আটক আদিত্য পাঞ্চোলি! এবার কঙ্গনার থেকে ১ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ
ওই অভিনেত্রী সেই সময়ে নাবালিকা ছিলেন বলেও দাবি করেছেন। নিজের বয়ানে তিনি বলেছেন, ২০০৪ সালে আমি অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বই এসেছিলাম। ওই বছরই দেখা হয় আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে। তখন ওর বয়স ৩৮ বছর। ২২ বছরের বড় তিনি আমার চেয়ে। আমি একটি হস্টেলে থাকতাম আরও মেয়েদের সঙ্গে। আদিত্য তখন বিবাহিত। পরিবার সন্তান নিয়ে থাকতেন। ওঁর মেয়ে আর আমি এক বয়সি ছিলাম।
আদিত্য ওই অভিনেত্রীকে সে সময়ে গাড়ির মধ্যেও ধর্ষণ করেছিলেন বলে তিনি বয়ানে জানিয়েছেন। অভিনেত্রীর কথায়, ২০০৪ সালে আমি ওঁর সঙ্গে একটি পার্টিতে যাই। একটু মদ্যপ হয়ে আমার মাথা ঝিমঝিম করছিল। আমার মনে হয় আদিত্যই আমার ড্রিঙ্কে কিছু মিশিয়ে দিয়েছিলেন। এর পরে রাস্তার মাঝখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমায় ধর্ষণ করেন এবং আমার অজান্তে ছবিও তোলেন। এর পরে আমাকে তিনি বলেন আমরা স্বামী স্ত্রীর মতো থাকব। আমি বলেছিলাম তিনি আমার বাবার বয়সি। তখন তিনি সেই ছবিগুলি আমায় দেখান।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কঙ্গনা রানাউতের দিদি আদিত্যর নামে আরও একটি অভিযোগ আনেন। দিদি রঙ্গোলি চন্দেল বলেন, আদিত্য় পাঞ্চোলি চাপ দিয়ে কঙ্গনার কাছ থেকে মোট ১ কোটি টাকা আদায় করেছেন। টুইটারের মাধ্যেমে রঙ্গোলি জানিয়েছেন, কঙ্গনা যখন ঘরহারা, তখন আদিত্যই ওর খাওয়া দাওয়ার দায়িত্বে নিয়েছিলেন। পরে ৩ মাসের খাওয়ার খরচ হিসেবে তাঁর থেকে ১ কোটি টাকা নিয়েছিলেন আদিত্য।