অনুষ্ঠান ছাড়ার আগে কেমন ছিল কেকের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, চোখে দেখা সেই ঘটনা জানালেন সঞ্চালকরা

মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শেষে হল থেকে বেরোনোর সময় কেকে-র শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন সঞ্চালক দম্পতি।

Parna Sengupta | / Updated: Jun 02 2022, 07:15 AM IST

কেকের ভক্ত ছিলেন। তাই এই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রবল উত্তেজনা ছিল স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যেই। তার ওপর সেই অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব মিলেছিল। সব মিলিয়ে ঘোর কাটছিল না হাওড়ার ইছাপুর বটতলার বাসিন্দা সুদীপ্ত মিত্র এবং শিল্পী মিত্রের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব ছিল তাদের ওপর। সেইদিনের প্রতি মুহুর্তের কথা বারবার ভেসে উঠছে তাঁদের চোখের সামনে। 

মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শেষে হল থেকে বেরোনোর সময় কেকে-র শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন সঞ্চালক দম্পতি। শুধু তাই নয়, তাঁরা জানালেন সারা অনুষ্ঠান জুড়ে কেকের অমায়িক ব্যবহার সম্পর্কেও। শিল্পী বলেন, ‘‘সকাল থেকে আমার মেয়েও খুব উত্তেজিত ছিল। সামনে থেকে দেখলাম কেকে পুরো অন্য রকম। খুবই ভদ্র এবং ব্যবহারও দারুণ। এক মঞ্চে ওঁকে এত কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়।’’

সঞ্চালক দম্পতি বলেন অনুষ্ঠান শেষেও খুবই চনমনে ছিলেন কেকে। তাঁর কথায়, ‘‘অনুষ্ঠান শেষে উনি হাত নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে যান। এমনটা কী করে হল বুঝতে পারছি না। অনুষ্ঠান চলাকালীন উনি এক বারও মঞ্চের বাইরে যাননি। মঞ্চে এলইডি আলো জ্বলছিল। তাতে হলের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। একটা সময় হলের যা ধারণ ক্ষমতা তার বাইরেও লোকজনকে ঢোকাতে বাধ্য হন উদ্যোক্তারা।

অনুষ্ঠানের দিন বেশ গরম ছিল, তাদের সবারই কষ্ট হচ্ছিল। তবে কেকের কষ্টটা অন্যরকম ছিল। তবু মুখে হাসি রেখে সকলের আবদার মেটাচ্ছিলেন উনি, বলেন সঞ্চালকরা। তাঁরা আরও জানান, খুব ঘাম হচ্ছিল গায়কের। বারবার স্যালাইন ওয়াটারও পান করছিলেন। তার পরেও উনি সকলের আবেদন রেখে গান গেয়েছেন। ওঁর এত এনার্জি যে, মঞ্চে লাফ দিচ্ছিলেন। মুখে বিভিন্ন রকমের বাজনার আওয়াজ করছিলেন। ওঁর শেষ গান ছিল, ‘হম, রহে ইয়া না রহে কাল...।’

Share this article
click me!