২০০৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর তারা আলাদা হয়ে যান। কোনও অনুষ্ঠানেও তাদের একসঙ্গে থাকতে দেখা যেত না। অর্থনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।
তিনি হরিবংশ রাই বচ্চনের ছোট ছেলে, অমিতাভ বচ্চনের (Brother of Amitabh Bahhan) ভাই। তবে নিজের পরিচয়েই বেশি পরিচিত অজিতাভ বচ্চন (Ajitabh Bachchan)। দেশে নয়, আজ তিনি বিদেশের একজন নামী ব্যক্তিত্ব (Famous personality)। লন্ডন শহরের বুকে নিজের ব্যবসা খুলে বসেছেন তিনি। নিজের পরিবার নিয়ে সেখানেই রয়েছেন অজিতাভ। তিনি এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে দেশে খুব বেশি আসা হয়ে ওঠে না তার। অমিতাভকেও তার ভাইকে নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে শোনা যায় না।
সম্পত্তির হিসেবে অমিতাভকে টেক্কা দিতে পারেন তারই নিজের ভাই অজিতাভ বচ্চন। যদিও তিনি এখানে থাকেন না। পরিবার-পরিজনদের ছেড়ে তিনি রয়েছেন লন্ডনে। সেখানকার একজন নামী ব্যবসায়ী অজিতাভ। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি সেখানেই রয়েছেন। লন্ডনে তার বিশাল ব্যবসা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও তার ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সূত্রে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক তিনি।
অমিতাভ এবং অজিতাভের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ৫ বছর। ছোটবেলায় তারা দুজনেই নৈনিতালের শেরউড স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। অজিতাভ যখন দ্বাদশ শ্রেণীতে, অমিতাভ তখন কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছেন। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে অজিতাভ দাদা অমিতাভের সঙ্গে কলকাতায় শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করতে আসেন। সেখানে অমিতাভের একজন বান্ধবী ছিলেন, নাম রমলা। দাদার সূত্রে রমলার সঙ্গে অজিতাভের পরিচয় হয়। পরবর্তী দিনে তারা দুজনে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন এবং বিয়েও করেন।
পরে অমিতাভ চলে আসেন মুম্বই। শুরু করেন অভিনয়ের কেরিয়ার গড়ার কাজ। সেই সময় অজিতাভও কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইতে চলে যান। তিনি মুম্বাইতে এসে দাদার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। অমিতাভ এরপর যখন রাজনীতিতে পা রাখেন তখন অজিতাভ চলে যান লন্ডনে। তিনি সেখানে নতুন ওষুধের ব্যবসা খুলে বসেন। এই ব্যবসার মূলধন তাকে দিয়েছিলেন অমিতাভ। অমিতাভের জীবনে রাজনৈতিক প্রভাব বাড়তে থাকায় দুই ভাইয়ের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। একথা একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন অজিতাভ।
কিন্তু এই ভাইয়ের সঙ্গেই দীর্ঘ ১৫ বছর মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল অমিতাভের। ২০০৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর তারা আলাদা হয়ে যান। কোনও অনুষ্ঠানেও তাদের একসঙ্গে থাকতে দেখা যেত না। অর্থনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। ২০১২ সালে অবশ্য দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হয়েছিল। অমিতাভ ভাইকে প্রতীক্ষা বাংলো দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অজিতাভ সেটা নিতে চাননি।