চির ঘুমের দেশে লতা মঙ্গেশকর। আর সুরসম্রাজ্ঞীকে নিয়ে এদিন মন খুললেন তামাম ভারতবাসীর প্রিয় গায়িকার অধিকাংশ গানের লিরিসিস্ট গুলজার। এদিন তিনি বলেছেন, 'লতাজি ছিলেন কণ্ঠের কিংবদন্তি। যতদিন ভারত গান গাইবে, ভারতের বুকে বাজবে বীণা। ততদিন তিনি বেঁচে থাকবেন।'
চির ঘুমের দেশে লতা মঙ্গেশকর। আর সুরসম্রাজ্ঞীকে নিয়ে এদিন মন খুললেন তামাম ভারতবাসীর প্রিয় গায়িকার অধিকাংশ গানের লিরিসিস্ট গুলজার ( Gulzar) । এদিন তিনি বলেছেন, 'লতাজি ছিলেন কণ্ঠের কিংবদন্তি (Legendary Singer Lata Mangeshkar )। যতদিন ভারত গান গাইবে, ভারতের বুকে বাজবে বীণা। ততদিন তিনি বেঁচে থাকবেন।'
এদিন গুলজার বলেছেন, আমি এই মুহূর্তে যা অনুভব করছি, তা সত্যিই বর্ণনা করার মতো কোনও শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। শতাব্দীর কণ্ঠ আজ শান্ত হয়ে গিয়েছে। ভীষণ ভীষণ খারাপ লাগছে। আজ রবিবার বেশি করে মনে পড়ছে ওর কথা। কারণ ওর সঙ্গে আমার খুব সুন্দর সম্পর্ক ছিল। এক সঙ্গে কাজ করার স্মৃতি গুলি মনের মধ্যে ভিড় জমাচ্ছে। আমি ওকে বেগম বলে ডাকতাম। দুইদিনের যে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, আমার মনে হয়, লতাজির জন্য এটা উপযুক্ত সম্মান।'
আরও পড়ুন, 'শুধু আপনার জন্যই গাইব', স্টুডিও-র সঙ্গে ঝগড়া সত্ত্বেও হেমন্তের জন্যই গান গেয়েছিলেন লতা
গুলজার আরও বলেছেন, 'শুধু সুর সম্রাজ্ঞী হিসেবেই ন মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ছিলেন। খুবই দয়ালু এবং উদার প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আমরা একসঙ্গে একটি ছবি তৈরি করেছি। আমি বেগমকে বলেছিলাম, আপনি খুব উদার প্রযোযক। অনেকে হয়তো জানেনই না, উনি সেটে সকলের জন্য উপহার নিয়ে আসতেন। তিনি এও জানতেন , আমি বুদ্ধের মূর্তি সংগ্রহ করতাম। সেকথা মনে রেখে তিনি আমায় চার থেকে ৫ টা ভাষ্কর্য উপহার দিয়েছিলেন। শেষ যেটি ছিল, সেটি একটি গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। ৬ মাস আগেই সেই মূর্তিটি পেয়েছিলাম আমি।'
প্রসঙ্গত, গুরুতর অসুস্থ হয়ে টানা ২০ দিনের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।সম্প্রতি করোনামুক্ত হলেও কাটছিল না শারীরিক অসুস্থতার জটিলতা পাঁচ সদস্যে চিকিৎসকদের বিশেষ টিম কয়েকদিন আগেই স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, বর্তমানে ভালো আছেন লতা মঙ্গেশকর। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। কিন্তু তিন সপ্তাহ পার করেই আবারও বাড়ল উদ্বেগ। ৫ ফেব্রুয়ারি ফের শারীরিক অবস্থার প্রবল অবনতি হয়। যার ফলে তাঁকে আইসিইউ কেবিনে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখতে হয়। ভারতের মেলোডি কুইনের শারীরিক অবস্থা যে ভালে নয় তা বারবার জানান দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল একরাশ মনখারাপ। তবুও আশা ভোঁসলের বার্তা পেয়ে ফের বুক বেঁধেছিল দেশ। আশা ভোসলে তখন জানিয়েছিলেন, লতাদিদি ভালো আছেন। রাতে লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালেও যান আশা ভোঁসলে।৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ অবধি চির ঘুমের দেশে যান সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর।