বিষ দেওয়া হয়েছিল লতা মঙ্গেশকরকে, উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য

  • ২৮অক্টোবর শনিবার সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিন
  • উঠে এল তাঁকে ঘিরে এক বিস্ফোরক তথ্য
  • লেখিকা পদ্মা সচদেবের লেখা একটি বই থেকে উঠে এসেছে লতা মঙ্গেশকরকে ঘিরে সেই তথ্য
  • বইয়ের নাম- অ্যায়সা কাঁহা লে লাউঁ।

debojyoti AN | Published : Sep 28, 2019 12:21 PM IST

শনিবার সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিনে উপচে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়া। কিংবদন্তী সংগীতশিল্পীকে শুভেচ্ছা জানায় আট থেকে আশি সকলেই। তা সেলেব হোক বা আমজনতা। আর এই শুভেচ্ছাবার্তার মধ্যে অনেকে আবার স্মৃতিচারণাও করলেন। পুরনো দিনের বহু কথা তাই ফের একবার উঠে এল। আর উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা জেনে হতবাক হতে পারেন সুরসম্রাজ্ঞীর ভক্তরা। 

জানা গিয়েছে, লতা মঙ্গেশকরের ঘনিষ্ট, বর্ষীয়ান লেখিকা পদ্মা সচদেব একটি বই লিখেছিলেন, যেখানে তিনি লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে একটি তথ্য দেন। যেখানে লেখা, সংগীতশিল্পীকে স্লো পয়জন বা বিষ দিয়ে ধীরে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। 

২০টি ভাষায় গানের রেকর্ড কেবল তাঁরই, লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিনে ফিরে দেখা সুরসম্রাজ্ঞীর সোনালী সফর

বর্ষীয়ান এই সংগীতশিল্পী প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে প্রায় ১০,০০০-এরও বেশি গান গেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। তাঁকে ভারতের নাইটিঙ্গেল বলা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই জানে না, এই ভারতরত্নকেই কেউ হত্যা করতে চেয়েছিল। 

পদ্মা সচদেবের 'অ্যায়সা কাঁহা লে লাউঁ', এই বইতে তিনি উপরোক্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। ১৯৬৩ সালে লতা মঙ্গেশকরকে স্লো পয়জন করার চেষ্টা হয়েছিল প্রথম। তবে সৌভাগ্যবশত, সুরসম্রাজ্ঞীর কোনও বিপদ ঘটেনি। লেখিকা তাঁর বইয়ে লিখেছেন, 'লতাজি এই কথা আমাকে বলেছিলেন। ১৯৬৩ সালে তিনি তাঁর বয়স ছিল ৩৩ বছর। একদিন ভোরে সংগীতশিল্পীর পেটের নীচের দিকে খুবই যন্ত্রণা হতে থাকে। তারপর তিনি দু-তিনবার বমি করেন, যা প্রায় সবুজ রঙের তরল ছিল। শরীরে এতোটাই যন্ত্রণা ছিল যে লতাজি নড়তেও পারছিলেন না। তিনদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে যেন পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। প্রায় ১০দিন পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে। তখনই ডাক্তার জানান, লতাজিকে কেউ স্লো পয়জন করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।'

লেখিকা এও জানান, এরপরেই লতা মঙ্গেশকরের বাড়িতে রান্নার কাজ যিনি করতেন তিনি হঠাৎই নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন, এমনকি নিজের বেতনটাও নিয়ে যাননি তিনি। 

এই ঘটনার পরে বলিউডের জনপ্রিয় গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরী লতা মঙ্গেশকরের বাড়িতে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ যেতেন। তিনি প্রথমে খাবার চেখে দেখতেন, তারপরে লতাজিকে তা খাওয়ার অনুমতি দিতেন। 

Share this article
click me!