যদি আপনার পেট ভরা থাকে, তাহলে আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বাজারে অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার রেডিমেড পাওয়া যায়, যেগুলো খেলে আপনি যেমন পেট ভরাতে পারবেন, তেমনি ওজনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ওজন বৃদ্ধি মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা। চাকুরিজীবীরা সারাদিন ঘরের বাইরে থাকে এবং ৯-১০ ঘন্টা কাজ করে। ডেস্কের কাজে, ঘন্টার পর ঘন্টা এক জায়গায় বসে কাজ করেন এবং সেখানে খাওয়া-দাওয়াও করেন। শরীরের কর্মক্ষমতা কম থাকলে এবং খাবার ও পানীয় সমানভাবে চলতে থাকলে স্থূলতা বাড়তে বাধ্য। আপনি যদি স্থূলতা বৃদ্ধিতে সমস্যায় পড়ে থাকেন তবে সবার আগে আপনার খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলুন। খাদ্যতালিকায় এমন খাবার খান যা পেট ভরার পাশাপাশি শরীরও সুস্থ রাখবে।
তৈলাক্ত খাবার আপনার স্থূলতা বাড়ানোর জন্য দায়ী, তাই আপনার খাবার এবং পানীয়ের যত্ন নিন। সারাদিন ঘরের বাইরে থাকলে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর খান। যদি আপনার পেট ভরা থাকে, তাহলে আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বাজারে অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার রেডিমেড পাওয়া যায়, যেগুলো খেলে আপনি যেমন পেট ভরাতে পারবেন, তেমনি ওজনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
অস্বাস্থ্যকর খাবার শুধু স্থূলতা বাড়ায় না আপনার স্বাস্থ্যও নষ্ট করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে খাদ্যতালিকায় কোন স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখে।
বাদাম খান
যখনই ক্ষিধে পাবে তখন বাইরের কিছু না খেয়ে বাদাম খান। বাদাম খেলে শরীরে শক্তি যোগার পাশাপাশি পেটও ভরে। বাদাম মেটাবলিজম বাড়ায় এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করে। বাদাম বহন করা খুবই সহজ একটি কাজ। প্রতিদিন ৫-৬টি বাদাম খেতে হবে। সকালে বা সন্ধ্যায় যখনই খিদে পাবে তখনই বাদাম খান।
দই বা বাটার মিল্ক খান
দই ও বাটার মিল্ক খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দই এবং বাটার মিল্ক অফিসে বা বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। দই ও বাটার মিল্ক খেলে পেট ভরে যায় এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ক্ষিধে পেলে দই ও বাটার মিল্ক খান।
স্বাস্থ্যকর স্যান্ডউইচ খান
আটার রুটি দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ আপনার পেট ভরার পাশাপাশি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। স্যান্ডউইচে বেশি করে টমেটো, শসা এবং লেটুস ব্যবহার করতে পারেন। স্যালাড খেলে শরীর যেমন হাইড্রেট থাকে, তেমনি ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্যান্ডউইচে মাখন এবং পনির খাবেন না।
সেদ্ধ ডিম খান
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে খিদে পেলে সেদ্ধ ডিম খান। সেদ্ধ ডিম যেমন পেট ভরায়, তেমনি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।