করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। কাধে কাধ মিলিয়ে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন দেশবাসী। কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি থেকে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যসরকারগুলির তৈরি তহবিলে অনুদান সব ক্ষেত্রেই সমানভাবে অংশ নিয়েছেন ক্রিকেটার, ফুটবলার, অ্যাথলিট থেকে শুরু করে সমস্ত ক্রীড়াবিদরা। ভারতীয় দলের ফুটবলাররাও তাদের সাধ্যম সামিল হয়েছে করোনা যুদ্ধে। ভারতীয় ফুটবলারদের লভূমিকায় খুশি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও।
আরও পড়ুনঃলকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পরই বড় সিদ্ধান্ত, অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল আইপিএলকোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের ফুটবলাররা যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তা দেখে খুশি এএফসি। তারা ভারতীয় ফুটবলের প্রশংসা করেছেন। এএফসির সদ্য প্রকাশিত নিউজলেটারে এএফসি সদস্য দেশ ভারতের প্রশংসা করেছে, যারা অনেক সোশ্যাল ওয়ার্ক করে দুস্থদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এএফসি এক প্রেস রিলিজে লিখেছে, ‘‘সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, গুয়াম ফুটবল ফেডারেশন, জে লিগ এবং উহান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অনুদান দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছে। ট্রেনিং সেন্টারকে মেডিক্যাল স্টাফদের থাকার জন্য দিয়েছে।'' এছাড়াও ভারতে একাধিক স্টেডিয়াম দিয়ে দেওয়া হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির জন্য। তাদের মধ্যে অন্যতম দিল্লির জহওরলাল নেহরু স্টেডিয়াম। সব দিক থেকে বিচার করেই এ.আই.এফ.এফ ওভারতীয় ফুটবলারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এএফসি।
আরও পড়ুনঃ২২ বছরের তরুণের সঙ্গে জলকেলিতে নেইমারের মা,অভিসারের ছবি হল ভাইরালআরও পড়ুনঃপরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ম্যাচ ফিট থাকবেন তো বুমরা, শামি, ইশান্তরা, চিন্তিত প্রাক্তন ভারতীয় ট্রেনারকরোনা মোকাবিলায় সম্প্রতি ২৫ লক্ষ টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিল অনুদান দিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। প্রয়োজনে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও বেশি পরিমাণে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে এআইএফএফ। ভারতীয় দলের প্লেয়ারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে এএফসি লিখেছে,ভারতের ফুটবলাররা প্রীতম কোটাল, প্রণয় হালদার, প্রবীর দাস ও অরিন্দম ভট্টাচার্য এক সঙ্গে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা বিভিন্ন চ্যারিটিতে অনুদান দিয়েছেন, সঙ্গে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে দিয়েছে দুস্থদের জন্য।ফরোয়ার্ড জেজে লালপেখলুয়া মিজোরামের সিনড হাসপাতালে রক্ত দান করেছেন অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য। সিকে বিনিথ তাঁর বাড়ি কেরলের কান্নুরে সরকারি হেলপ লাইন সেন্টারে যোগ দিয়েছেন। এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল প্যাটেল, যিনি ফিফা কাউন্সিল ও এএফসি এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য বলেন,‘‘এখন এমন একটা সময় যখন আমাদের দেশকে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে নিজেদের সাধ্যমতো। এই পরিস্থিতিতে এক সঙ্গে মিলে সবাইকে সবার পাশে দাঁড়াতে হবে।'' ফলে দেশের বিপদের দিনে ভারতীয় ফুটবলাররাও যে প্রাণপন লড়েই করছে তাকে কুর্ণিশ জানিয়েছে এএফসি। যার ফলে ফুটবলারদের উৎসাহ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।