সংক্ষিপ্ত

  • করোনা ভাইরাস মহামীরার কারণে ঘরবন্দি রয়েছেন ক্রিকেটাররা
  • দীর্ঘ বিরতির পর প্লেয়ারদের ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত প্রাক্তন ট্রেনার
  • বিশেষ করে পেস বোলারদরে ম্যাচ ফিটনেস খুবই উদ্বিগ্ন শঙ্কর বাসু
  • ঘরে যতটা সম্ভব ট্রেনিংয়ের পরামর্শ প্রাক্তন ভারতীয় দলের ট্রেনারের
করোনা ভাইরাস  সংক্রমণের জেরে এই মুহূর্তে স্তব্ধ ক্রীড়া বিশ্ব। ঘরবন্দি রয়েছেন বিশ্বের সমস্ত প্লেয়াররা। ঘরবন্দি রয়েছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার। অবসর সময়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সকলেই। একিসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সামাজিক সচেতনতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যসরকারগুলির তৈরি তহবিলে। পাশাপাশি নিজেদের মতো করে তাঁরা বাড়িতে ট্রেনিং করছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু এত  লম্বা বিরতির পর ২২ গজে ফেরা অর্থাৎ ম্যাচ ফিট হতে প্লেয়ারদের সমস্যা হবেই বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে পেস বোলারদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। 
২২ বছরের তরুণের সঙ্গে জলকেলিতে নেইমারের মা,অভিসারের ছবি হল ভাইরাল

বাড়িতে ট্রেনিং করলেও পেসারদের জন্য তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ শঙ্কর বাসু।  ২০১১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থেকে দলের ফিটনেস এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শঙ্কর বাসু। যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। সেই প্রাক্তন ট্রেনার এখন আশঙ্কায় রয়েছেন বুমরা-শামিদের ফিটনেস নিয়ে। শঙ্কর বাসু জানিয়েছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটাররা সবাই বাড়িতেই ট্রেনিং করছে। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে এই ট্রেনিং কাজে দিলেও, বোলারদের পক্ষে কিন্তু কঠিন হবে ম্যাচ ফিট থাকা।’’ বাসু মনে করেন, এক জন পেসার যত ট্রেনিংই করুন না কেন, মাঠে নেমে না-দৌড়লে সেই ট্রেনিং পুরো হবে না। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ফাস্ট বোলারররা খুবই পরিশ্রমী। নিজেদের ক্ষমতায় যতটা যা সম্ভব, সবই ওরা করবে। কিন্তু ঘটনা হল, মাঠে নেমে দৌড়নোর অভাব কিছু দিয়েই মেটানো যায় না।’’
আরও পড়ুনঃকরোনার বলি বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার, মৃত্যু হল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার জাফর সরফর
পয়লা বৈশাখে ময়দানে হচ্ছে না বার পুজো, করোনা ভাইরাসের কারণে ছেদ পড়ল প্রথাতে

ক্রিকেট ফের চালু হলে বুমরাদের সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নিজেদের ম্যাচের জন্য তৈরি করা। বাসুর কথায়, ‘‘সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলে পরপর হয়তো ম্যাচ খেলতে হবে ভারতীয় পেসারদের। ওদের ট্রেনিংয়ের মাত্রাও বদলে যাবে। দ্রুত গতিতে দৌড়তে হবে। এটা কিন্তু পেসারদের পক্ষে ঝুঁকির হয়ে যাবে।’’ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও উপায় না থাকায় লকডাউনে বাড়িতেই যতটা সম্ভব ফিট থাকার চেষ্টা করাই এখন পেস বোলরদের  একমাত্র কাজ। যতটা সম্ভব জিম করে শরীর ঠিক রাখা যাতে পরে মাঠে নামলে সমস্যা একটু কম  হয়।