ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2022) মরসুমের প্রথম ডার্বিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে (Emami East Bengal) ১-০ গোলে হারাল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। সুমিত পাসির আত্মঘাতি গোলে জয় পেল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড।
আত্মঘাতী গোলে জয় হলেও ফের একবার যুবভারতীতে কলকাতা ডার্বির রং সবুজ-মেরুণ। ডুরান্ড কাপে মরসুমের প্রথম ডার্বিতে ১-০ গোলে এটিকে মোহনবাগান হারাল ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে। এদিনের জয় আত্মঘাতী গোলে এলেও এক টানা ৬টি ডার্বি জয়ের রেকর্ড গড়ল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। একই সঙ্গে ডুরান্ড কাপে প্রথম ম্যাচে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে ড্রয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে প্রতিযোগিতার প্রথম জয় পেল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। রবিবাসরীয় মেগা ম্যাচে খেলার রাশ বরাবরই ছিল জুয়ান ফেরান্দোর দলের হাতে। তবে প্রথম দুই ম্যাচের মতই ফিনিশিংয়ের অভা এদিনও দেখা যায় এটিকে মোহনবাগানের খেলায়। একাধিক সহজ গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আশিক কুরিয়ন, লিস্টন কোলাস, হুগো বুমোসরা। তবে শেষ পর্যন্ত পুরো তিন পয়েন্ট ঘরে আসায় খুশি এটিকে মোহনবাগান সমর্থকরা।
এদিন ম্যাচের শুরুতে হাড্ডাহাড্ডি ফুটবল খেলে এটিকে মোহনবাগান ও ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ম্য়াচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ম্য়াচের ১৬ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আশিক কুরুনিয়ান। এরপর ম্যাচের ২০ মিনিটে হুগো একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজে গোলে শট না নিয়ে লিস্টনকে বল বাড়ান। বুঝেই উঠতে পারেননি লিস্টন কোলাসো। ম্যাচের ২৩ মিনিটে আশিক বল টেনে নিয়ে দুরন্ত একটি ক্রস বাড়িয়েছিলেন লিস্টনকে। ফাঁকায় দাঁড়িয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। বল পায়ে ছোঁয়ালেই নিশ্চিত গোল ছিল। কিন্তু লিস্টন জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন। তবে লাল-হলুদ রক্ষণে চাপ বজায় রাখে সবুজ-মরেুণ ব্রিগেড। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে প্রথম ফ্রি-কিক পায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তবে তাতে কোনও সমস্যা হয়নি বাগানের। ৩৪ মিনিটে দুরন্ত শট নেন ইস্টবেঙ্গলের ইভান গঞ্জালেস। যদিও সেটি অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়। ম্যাচের প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিটে খেলার ফল গোলশূন্য ছিল। ইনজুরি টাইমে কর্ণার পায় এটিকে মোহনবাগান। লিস্টনের কর্নার শট জটলার মাঝে সুমিত পাসির বুকে লেগে ঢুকে যায় গোলে। বিরতির ঠিক আগেই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ বজায় রাখে এটিকে মোহনবাগান। আক্রমণের মাত্রা বাড়াতে তিনটি পরিবর্তন করে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। জেরির জায়গায় হিমাংশু, আঙ্গুসেনার বদলে অনিকেত যাদব ও এলিয়ান্দ্রোর বদলে ক্লেটন সিলভা। ৪৮ মিনিটে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শৌভিকের ফ্রি-কিক বাঁচান বিশাল কাইথ। ফিরতি বলে দুরন্ত শট নেন অনিকেত যাদব। কিন্তু অল্পের জন্য মিস করেন তিনি। ৫০ মিনিট কেল্টনের পাসে জালে বল জড়াতে পারেননি সুমিত পাসি। ৫৪ মিনিটে একাবেরা সহজ সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। আশিক গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। ৫৭ মিনিটে হুগোর ফ্রি কিক থেকে পোগবার দুরন্ত সট সেভ করেন কমলজিৎ। এরপর দুই দলই ফের পরিবর্তন করে। ইস্টবেঙ্গলে শৌভিকের জায়গায় নামেন অমরজিৎ ও মোহনবাগানে হুগোর জায়গায় নামেন মনবীর। ৮৮মিনিটে হুগোর পাস গোলের পর থেকে নারেন কিয়ান নাসিরি ও ৮৯ মিনিটে ক্লেটনের শট যায় গোল কিপারের হাতে। এরপর আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেল চললেও দুই দলের কেউই গোলের মুখ খুলতে পারেনি।